এবার ডিম মজুত হচ্ছে হিমাগারে
বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম আবার ১৫০ টাকায় উঠেছে। এখন প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। গত ১০ দিনে ঢাকার বাজারে ডিমের দাম ডজনে ৩০ টাকার মতো বেড়েছে। গরমে উৎপাদন কমায় ডিমের দাম বাড়ছে বলে ধারণা অনেকের। তবে ডিম হিমাগারে মজুত করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগও রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে।
গত তিন দিনে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীর দুটি হিমাগারে প্রায় অর্ধকোটি ডিমের মজুত পেয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। হিমাগারে রাখা এসব ডিম রোজার সময়ে বা তারও আগে সংরক্ষণ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই সময়ে বাজারে ডিমের চাহিদা পড়ে গিয়েছিল, দামও ছিল কম। খামারিদের কাছ থেকে কম দামে কেনা ডিম মধ্যস্বত্বভোগীরা হিমাগারে রেখে এখন বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। গরমের কারণে ডিম উৎপাদন হ্রাস ও চাহিদা বৃদ্ধিকে পুঁজি করে বাজারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন একশ্রেণির মুনাফালোভী।
হিমাগারে ডিম মজুত করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ হিমাগার সমিতির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, এটাকে সম্পূর্ণভাবে বেআইনিও বলা যাবে না। তবে কেউ কোনো পণ্য অসৎ উদ্দেশ্যে মজুত করলে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও বলছেন, বিদ্যমান মজুত আইনে ডিম হিমাগারে সংরক্ষণ করা হলে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। সে জন্য তাঁরা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে তাঁরা হিমাগারে থাকা ডিম বাজারে ছাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের তাগাদা দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামন বলেন, ‘বেশ কিছু হিমাগারে অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে দুটি হিমাগারে ডিমের মজুত পাওয়া গেছে। আমাদের ধারণা, আরও হিমাগারে ডিম থাকতে পারে।’
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, সংকটকে পুঁজি করে হিমাগারে রাখা লাখ লাখ ডিম বাড়তি দামে বাজারে ছাড়া হচ্ছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। পাড়া-মহল্লার দোকানে অবশ্য ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে। সাদা ডিমের দাম বাদামি ডিমের চেয়ে সামান্য কমে বিক্রি হচ্ছে।