চাপ দিয়ে আরও বেশি সুবিধা নিলেন ব্যাংক মালিকেরা
>
- দাবির মুখে সিআরআর কমানো।
- সুদের হার কমার সময় অনিশ্চিত।
- টাকার প্রবাহেও মূল্যস্ফীতি কমবে না।
- এডিআর সমন্বয়ে সময় বাড়ল।
বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের জন্য আরও উদার হলো সরকার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর টাকার অভাব দূর করতে সরকার শেষ পর্যন্ত সরকারি সংস্থা বা দপ্তরগুলোকেই বেছে নিল। শুধু তা-ই নয়, সব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার (সিআরআর) রাখতে হয়, তা-ও ১ শতাংশ কমিয়ে দিল সরকার।
মুদ্রানীতির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে সিআরআর। বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও গভীর বিশ্লেষণের পর এই হার নির্ধারণ করে থাকে। আর বাংলাদেশে গতকাল এই কাজ হলো হোটেলে বসে, ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বসে, মুখোমুখি আলোচনার মধ্য দিয়ে। এভাবে যদি ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ কী, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে চেষ্টা করেও গতকাল কথা বলা যায়নি।
যেকোনো সরকারি সংস্থা এত দিন তার তহবিলের ৭৫ শতাংশ অর্থ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে জমা রেখে আসছিল। বাকি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত রাখত তারা বেসরকারি ব্যাংকে। দীর্ঘ সময়ের এই চর্চা পাল্টে সরকারি সংস্থার তহবিল রাখার নতুন হার করা হলো অর্ধেক অর্ধেক। অর্থাৎ এসব তহবিলের ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যাংকে রাখলেও বাকি ৫০ শতাংশ রাখতে হবে বেসরকারি ব্যাংকে। আর সিআরআর কমানোর কারণে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে যাবে, এখন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রোববার বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে ঋণের সুদহার কমানো নিয়ে এত আয়োজন হলেও কবে কমবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ।
সোনারগাঁওয়ে হোটেলের রুদ্ধদ্বার এক কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব মোহাম্মদ
মুসলিম চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ছিলেন বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আওয়ামী
লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহামেদ, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন এবিবি সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকটি আগের (গত শুক্রবার) বৈঠকের ফলোআপ। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি সংস্থাগুলোর টাকা রাখার হার বিষয়ে সরকার দুদিন আগে যে সিদ্ধান্ত দেয়, তা আসলে কার্যকর হয়ে গেছে। আমার অফিস থেকে আজকেই (গতকাল) আদেশ জারি হয়ে গেছে।’
তবে গত রাতে জানতে চাইলে সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, আদেশটি আজ সোমবার জারি হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনাদের আরও দাবি ছিল সিআরআর ৩ শতাংশ কমিয়ে আনা। সেটার কর্মকর্তা হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তিনিই নিয়ন্ত্রক। হ্যাঁ, আমি গভর্নরকে এ ব্যাপারে প্রভাবিত করতে পারি, কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারি না।’ বৈঠকে গভর্নরের দলও উপস্থিত ছিল উল্লেখ করে মুহিত বলেন, সিআরআর কমানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে, যুক্তিতর্কও হয়েছে। বিএবির দাবি ৩ শতাংশ সিআরআর কমানো। সবকিছু বিবেচনা করে, বিভিন্ন মহলের উপদেশ পেয়ে তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে বিষয়টি আগামী জুনে পর্যালোচনা (রিভিউ) করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে, তা দেখতে হবে। আর জুনের মধ্যে পর্যালোচনা করার পরামর্শটা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান। আমার কাছে তা ভালো লেগেছে। যদি দেখা যায় বিষয়টা কার্যকর হচ্ছে, তাহলে তো ভালো। নইলে আরও কিছু করতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে চলে যাওয়ার পর এইচ বি এম ইকবাল, কাজী আকরাম উদ্দিন আহামেদ ও এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক নুরুল ফজল বুলবুলকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। তাঁদের ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন ব্যাংকে চাকরিও করেন। কিন্তু তাঁরা গত শনিবার যে প্রতিবেদন করেছেন, রোববার করেছেন তার ঠিক উল্টো, অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। প্রতিবেদনে অমুক উপদেষ্টা, অমুক অর্থনীতিবিদের মন্তব্য তুলে আনা হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র দেবাশিস চক্রবর্তী গতকালের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁকে বলতে বলা হয়েছে সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দাবির মুখে সিআরআর কমানো
ব্যাংক মালিকদের দাবির মুখে দেশে এবারই প্রথম সিআরআর কমানো হয়েছে। এটা সাধারণত অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কখনো বাড়ায়, আবার প্রয়োজনে কমায়।
নজরুল ইসলাম মজুমদার শুরুতেই বলেন, বৈঠকে ব্যাংক খাতের তারল্যসংকট কাটিয়ে ওঠাসহ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিআরআর কমানো। ১ শতাংশ সিআরআর কমানো হলেও সরাসরি ১০ হাজার কোটি টাকা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে আসবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ইঙ্গিত করে নজরুল বলেন, ‘এই টাকা বেসরকারি ব্যাংকেরই টাকা। ১০ বছর ধরে নিজের কাছে রাখলেও এই টাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো উপকার হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমাতেও কোনো ভূমিকা রাখেনি সিআরআরএর টাকা। আমরা বললাম, যেহেতু এই টাকা কোনো ভূমিকা রাখছে না, অলস পড়ে আছে, আমাদের দিয়ে দিন।’
সিআরআরই কেন কমাতে হবে, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, কমাতে হবে এই কারণে যে চাইলেই তো অন্য কোনো জায়গা থেকে টাকা পাওয়া যাবে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বুঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চাপিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হলো না। তারল্য নেই বলে সিআরআর কমানো হলো, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ব্যাংকে যে মাত্রায় তরল সম্পদ থাকার কথা, তার চেয়ে বেশি আছে। প্রমাণিত হচ্ছে, বেসরকারি খাতের ঋণ ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, ব্যাংকগুলোতে আমানত কমে যাচ্ছে। কারণ, বেসরকারি ব্যাংকে অনিয়ম হচ্ছে, টাকা ফেরত দিতে পারছে না। সিআরআর কমানোতে ঋণ বাড়বে, যাতে খেলাপি ঋণের হারও ভবিষ্যতে বাড়তির দিকে থাকবে।
বিনিয়োগ, না পাচার
ফারমার্স ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ব্যাংকটাতে একটা সমস্যা হয়ে গেছে। যে কারণে অনেকে ভয়ভীতিতে আছেন। সরকারি সংস্থাগুলোর অনেকে বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের পাশাপাশি সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। বোঝানোর পর তারা অনেকটা থেমেছে। তারপরও তারল্যসংকট রয়েই গেছে।
বিনিয়োগের হার বেড়ে যাওয়াকে তারল্যসংকটের জন্য দায়ী করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশ করে বেসরকারি ব্যাংক। তাহলে সরকারি তহবিলের টাকা চাওয়া যাবে না কেন?
বিনিয়োগ বেশি হয়েছে বলে কি তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে, নাকি এই সময়ে টাকা পাচার বেড়ে গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা পাচারের কথা কীভাবে বলছেন? টাকা পাচার তো হতেই পারে না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি অধ্যাপক মইনুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের এই বছরে দেশ থেকে প্রচণ্ডভাবে অর্থ পাচার বেড়ে গেছে। একশ্রেণির রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী এসব করছেন। যে তারল্যসংকটের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে মূলত এই পাচার সম্পর্কযুক্ত।
সুদের হার কমার সময় অনিশ্চিত
সুদের হার এক অঙ্কে আসবে বলে এখন আশা করা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী শুধু বলেন, অবশ্যই আশা করা যায়।
বিএবির সঙ্গে বৈঠকের কিছুক্ষণ আগে একই হোটেলে অর্থমন্ত্রী জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, সুদের হার বাড়ানোটা অন্যায় হয়েছে। তবে ব্যাংক মালিকেরা ওয়াদা করেছেন যে এক মাসের মধ্যে সুদের হার কমিয়ে আনবেন।
অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সূত্র ধরে বিএবি চেয়ারম্যানের কাছে সুদের হার কমার সময় জানতে চাইলে প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে হঠাৎ পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আপনিই বলুন না কবে কমবে? আপনি তো ভালো বোঝেন।’
নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, এক মাস সময় অবাস্তব কথা। অর্থমন্ত্রী ‘শিগগির’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এক মাস নয়।
সাংবাদিকেরা সুনির্দিষ্ট করে তুলে ধরলে নজরুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে কথা ঘুরিয়ে বলেন, তিনি হয়তো বলে ফেলেছেন ভুলে। অনেক সময় বক্তৃতায় অনেক কথাই বলে ফেলা হয়। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সুদের হার কবে কমবে, তা কেউ বলতে পারেন না। আমরা বলতে পারি না, আপনারা বলতে পারবেন না, এমনকি গভর্নরও পারবেন না। তবে এটা এসে যাবে।’
টাকার প্রবাহেও মূল্যস্ফীতি কমবে না
বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়লে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, এটাই অর্থনীতির সাধারণ নিয়ম। কিন্তু এবার তা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সিআরআর কমানোতে মূল্যস্ফীতিতে কোনো চাপ পড়বে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, না, না।’
মূল্যস্ফীতি তো এখন বাড়ার দিকে, এই প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কাছেই আমি এটা প্রথম শুনলাম। আপনার কাছে এটা শুনতে চাই না। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কিছু লোক বোকার মতো কথা বলছেন। দেশে এমন কিছু হয়নি যে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। অসম্ভব, মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।’
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল তখন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, ইনশা আল্লাহ।’
পরে নজরুল ইসলাম মজুমদারও বলেন, সিআরআর কমালে বেসরকারি ব্যাংকগুলো যে টাকা পাবে, তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।
এডিআর সমন্বয়ে সময় বাড়ল
গতকালের সভায় ব্যাংকগুলোর ঋণ আমানত অনুপাতের সীমা (এডিআর) সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সীমা ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত। বর্তমান নিয়মে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সীমা সমন্বয় করতে হবে। এর আগে এ সীমা দেওয়া হয়েছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। ২১ দিনের মাথায় ব্যাংকারদের দাবির মুখে বাড়িয়ে তা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এবার ব্যাংক মালিকদের দাবির মুখে তা আরও বাড়িয়ে করা হচ্ছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।
এ ছাড়া সুদহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা রেপোর মেয়াদ বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে রেপোর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করলে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাত দিন রাখতে পারে। তা বাড়িয়ে ২৮ দিন মেয়াদ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রেপোর সুদহার ৬ দশমিক ৭৫ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।