ঋণ পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় চান ব্যবসায়ীরা
আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনো সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি—এই দাবি করে ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ চেয়েছেন। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে (জুন ২০২২) ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে ব্যাংক তাঁদের খেলাপি না করে, সেই সুবিধা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শনিবার দেশের সব জেলা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার ও উইমেন চেম্বারের সভাপতিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করে এফবিসিসিআই। সেখানে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী নেতাদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে এফবিসিসিআই। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে একই অনুরোধ জানায় এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দেশের উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সরকার নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপসহ অর্ধেক জনবল নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করছে। এ ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে নতুন বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ঋণের কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহকে পরিণত হবে। এর ফলে ব্যাংকিং খাতসহ পুরো অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে বিনা শর্তে ঋণ বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ প্রক্রিয়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআইও তাঁদের দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে সক্রিয় সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন তিনি।