আরও তিন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের ৩০ গ্রাহক টাকা ফেরত পেলেন

ই–কমার্স
প্রতীকী ছবি

পণ্য কেনার আদেশ দিয়ে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকদের ৩০ জন তিনটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে দালাল প্লাস, বাংলাদেশ ডিল ও আনন্দের বাজার।

বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দালাল প্লাসের ১০ জন গ্রাহককে ৯ লাখ ৭ হাজার, বাংলাদেশ ডিলের ১০ গ্রাহককে ৫ লাখ ৪৬ হাজার এবং আনন্দের বাজারের ১০ গ্রাহককে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সফিকুজ্জামান বলেন, আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরতের কার্যক্রম গুছিয়ে আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ডট কম, আলিফ ওয়ার্ল্ড ও ধামাকা। তাদের গ্রাহকদের আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা ফেরত দেওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। সব মিলিয়ে তখন ১১টি প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে।

অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অফিস বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে—এমন মন্তব্য করে সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্স খাতের সামনে ভালো সম্ভাবনা আছে।

তাঁরা যদি গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করে ব্যবসায়ে আসেন, তাহলে আস্থার জায়গাটা ফিরে আসবে। যাঁরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন, তাঁরা যদি টাকাগুলো ফেরত দেন, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী তাঁদের কিছু করবে না। সেভাবে সমন্বয় করা আছে। চলতি মাসের পর কেউ গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারবেন না—এই তথ্যটা তাঁদের জানাতে চান বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের গ্রাহকদের এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এর পর দু-এক কোটি টাকা বাকি থাকতে পারে।

কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন মিয়ার জামিন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। ই-ক্যাবকে আদালতে যোগাযোগ করতে বলেছিলাম। একটা মামলায় তাঁদের জামিন হয়েছে।’

জানা গেছে, ২৪টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রয়াদেশ দেওয়ার পর বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে রয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।