'কারাগারে আরেক জাহালম': আরমানকে মুক্তি দিতে নির্দেশ কেন নয়
নির্দোষ হয়েও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ৩ বছর ধরে কারাগারে থাকা পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিত করতে কেন তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রুলসহ আদেশ দেন। ওই মামলার যাবতীয় নথিপত্র সাত দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে ১৮ এপ্রিল দৈনিক ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গত রোববার রিটটি করা হয়। এর ওপর আজ প্রাথমিক শুনানি হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির পল্লব, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক ও মাজেদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে হুমায়ন কবির পল্লব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরমানের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাঁকে মুক্তি ও ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কাশিমপুর কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট ও পল্লবী থানার ওসিকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ মে দিন রেখেছেন আদালত।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধী না হয়েও পাটকলশ্রমিক জাহালমকে জালিয়াতির ৩৩ মামলার আসামি হয়ে ৩ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল। অনেক ঘাটের জল পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে তিনি কারামুক্ত হন। এর রেশ না কাটতেই আরেক জাহালম-কাণ্ড বেরিয়ে এসেছে ‘আমাদের সময়’-এর অনুসন্ধানে। আরও বলা হয়, জানা গেছে, পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমান নির্দোষ হয়েও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ৩ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। রাজধানীর পল্লবী থানার একটি মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারি এ মামলার প্রকৃত আসামি। কিন্তু তাঁর পরিচয়ে, তাঁর পরিবর্তে সাজা ভোগ করছেন আরমান।