২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

'আমার এত ভোট গেল কই?'

মোহাম্মদ আবদুর রব
মোহাম্মদ আবদুর রব

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোহাম্মদ আবদুর রব মল্লিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘আমার পক্ষে শত শত কর্মী মাঠে কাজ করেছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল। আমাকে অনেকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু হিসাবের খাতায় আমার ভোট এত কম কেন? আমার এত ভোট গেল কই?’

নির্বাচনের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আবদুর রব এ প্রশ্ন তোলেন। সিলেট-২ আসনে গণফোরাম মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান ৬৯ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৬ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩। জামানত হারানো প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন আবদুর রব। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুর রব বলেন, ‘আমি সব জরিপে এগিয়ে থাকার পরও আমার হাজার হাজার ভোট কারচুপি করে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’ একজন আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফলাফলে এমন রদবদল হয় বলে দাবি করেন আবদুর রব।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুর রব নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আসেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‌ইউকে-বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান তিনি। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক আইএজি সদস্য ছিলেন। পেশায় আইনজীবী আবদুর রব বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে সিলেট-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালত বাতিল করলে তিনি তখন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এতেও বিফল হয়ে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ প্রতিবেদনে তাঁর অবস্থান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল দাবি করে আবদুর রব আরও বলেন, ‘ভোটের এক দিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেতা বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে বলেন, টাকা দিলে আমাকে বিজয়ী করা হবে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল, ফেয়ার নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হব। ১২৭টি ভোটকেন্দ্রে যেমন আমার এজেন্ট ছিল, তেমনি ছিল শত শত ভোটার। ফলফল ঘোষণার পর আমি হতবাক হয়ে যাই। এমনকি ফলাফল শুনে গত দুই দিন ধরে শত শত মানুষ আমার বাড়িতে ভিড় করে, তারাও ফলাফল মেনে নিতে পারেনি। তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল দাবি করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দুই উপজেলার অর্ধশত কর্মী–সমর্থকের মধ্যে মাওলানা সৈয়দ মোছলেহ উদ্দিন, মাওলানা আছাব আলী, সিলেট জেলা তরুণ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সমর আলী, বাবুল চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী খালিক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।