৯৯টি গুলির পর এবার মামলা, প্রার্থী অবরুদ্ধ
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ওরফে ইকবালের বাড়ি লক্ষ্য করে ৯৯টি গুলি চালানোর পর এবার মামলা করেছে পুলিশ। বাজিতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল কবির বাদী হয়ে গতকাল শনিবার ওই মামলাটি করেন।
মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ তিনজনই বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত ও তাঁরা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন আসামি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আছেন। এর মধ্যে প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমানের ভাতিজা সজীব আহমেদও রয়েছেন।
বিএনপির দাবি, গতকালও পুলিশে বিএনপির প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি চালায়। এ কারণে গতকালও প্রার্থী নিজ ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন।
দলীয় ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেখ মজিবুর রহমানের বাড়ি বাজিতপুরের সরারচর ইউনিয়নের সরারচর বাজার লাগোয়া। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রার্থী তাঁর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর নিজের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকার কথা জানান। এ অবস্থায় সন্ধ্যায় পুলিশ প্রার্থীর বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং ৯৯টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একই সঙ্গে পুরোনো বাজার এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় অনেক সাধারণ মানুষ পুলিশের গণপিটুনির শিকার হন। একদিকে গোলাগুলির শব্দ, অন্যদিকে পুলিশের গণপিটুনির ঘটনায় সরারচর বাজার এলাকায় ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ওই সময় সরারচর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি শহীদ মিয়া হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে প্রার্থীর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় পুলিশের কর্তব্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান বলেন, ‘কী আর বলব, পুরোপুরি গৃহবন্দী হয়ে আছি। সবচেয়ে বড় কথা, আমার বাড়িতে গুলি চালিয়ে আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিয়েছে পুলিশ। আগেও বলেছি, এখনো বলছি, এসব ঘটনার মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কিত আমরা।’
জানতে চাইলে বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের নাম বলা সম্ভব নয়। তবে গতকালও প্রার্থীর বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।