২২ তারিখের পর প্রশাসন সরকারের কথা শুনবে না: ঐক্যফ্রন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, ২২ ডিসেম্বরের পর হামলা, ধরপাকড় থাকবে না। প্রশাসনও তখন সরকারের কথা শুনবে না।
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রোডমার্চের দ্বিতীয় পথসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসব কথা বলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রোডমার্চ করছেন। আজ শনিবার তাঁদের দ্বিতীয় পথসভা গাজীপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকীর জন্য গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় হয়। সেখানে মান্না বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের জোয়ার দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তারা ড. কামাল হোসেন ও আ স ম আবদুর রবের ওপর হামলা করেছে। হামলা-মামলা করে থামানো যাবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মান্না বলেন, ভোটের দিন কেন্দ্র ঘেরাও করে রাখতে হবে, যাতে কারচুপি না হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা আছেন বলে দাবি করেন মান্না।
আওয়ামী লীগ এখন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করে না, উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকের লড়াই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেখ হাসিনার রাজনীতির লড়াই।’
ঐক্যফ্রন্টে কোনো রাজাকার নেয়নি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা রাজাকারদের দলে টেনেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে ট্যাংক এলেও শেখ হাসিনা ভোটে জিততে পারবেন না। ২২ ডিসেম্বরের পর হামলা, ধরপাকড় থাকবে না। প্রশাসনও তখন তাদের কথা শুনবে না বলে তিনি জানান।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ১৯৭০–এর নির্বাচনে ভোটের ফল মেনে না নেওয়ায় অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। এবার কারচুপি হলে যুদ্ধ করবেন। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের পর থেকে একটা কর্মীর গায়ে হাত দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। এ ছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ২৫ মার্চ পাকিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের সভাপতিত্বে এ পথসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।
ঐক্যফ্রন্টের এ রোডমার্চে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হলেও তিনি রোডমার্চে অংশ নেননি। এরপর তাঁরা ময়মনসিংহের ত্রিশালে ময়মনসিংহ-৭ আসনের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান লিটনের পক্ষে তৃতীয় পথসভা করেন। তাঁদের পরের পথসভাটি ময়মনসিংহ শহরে হওয়ার কথা।