২০১৬ সালে সড়কে গেছে ৬ হাজার মানুষের প্রাণ
২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। কমেছে হতাহত হওয়ার সংখ্যা। এরপরও গত বছর ৪ হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত হয়। আহত ১৫ হাজার ৯১৪ জন।
‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০১৬’-তে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির তৈরি করা প্রতিবেদনটি আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে মোট সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর নিহত হওয়ার সংখ্যা কমেছে ২৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৬৪২ জন নিহত হয়। আর আহত হয় ২১ হাজার ৮৫৫ জন।
অন্যদিকে, ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৫ হাজার ৯১৪ জন।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা খানিকটা কমলেও তা সন্তোষজনক নয়।
উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সড়ক দুর্ঘটনাকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করার পরামর্শ দিয়েছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি।
সমিতি মনে করে, সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত, তথা সঠিক কর্মসূচির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা এক বছরের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মাহবুবুর রহমান, বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক মাহবুবুল আলম তালুকদার প্রমুখ।
সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় হতাহত হওয়ার সঠিক সংখ্যা নিরূপণে স্থানীয় সরকারকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০টি জাতীয় দৈনিক, ছয়টি অনলাইন পত্রিকা, ছয়টি স্থানীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার খবরাখবর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।