হাসিনা–মোদি বৈঠকে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া দুই নেতা বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
মোদির সফরের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বিকেলে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ–ভারত শীর্ষ বৈঠক হয়। এরপর সমঝোতা স্মারকগুলো সই এবং প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হয় বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
দুর্যোগ দমনে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূরের পদক্ষেপ, দুই দেশের জাতীয় ক্যাডেট কোরের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা এবং রাজশাহীতে খেলার মাঠ বিষয়ে দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
দুর্যোগ দমনে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূরের পদক্ষেপ, দুই দেশের জাতীয় ক্যাডেট কোরের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা এবং রাজশাহীতে খেলার মাঠ বিষয়ে দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
এছাড়া শিলাইদহের সংস্কারকৃত কুঠিবাড়ি, মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত স্বাধীনতা সড়ক, রূপপুর পরমাণু প্রকল্পে একটি স্থাপনা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি সমাধি, ভারতের উপহার ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, তিনটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া ১২ লাখ কোভিড–১৯ টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন মোদি। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে একটি স্মারক ডাকটিকিটও অবমুক্ত করা হয়।
বৈঠকের পর এক টুইটে মোদি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সকল বিষয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ আরও গভীর করার উপায়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার ঢাকায় আসেন মোদি। সেদিন তিনি ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু–বাপু ডিজিটাল জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
আজ সকালে সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শন এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় ফেরেন মোদি। বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত পাঁচ দশকে দুই দেশের সম্পর্কের মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতের পথনকশা কেমন হবে, সেটাই ঠিক করতে শীর্ষ বৈঠকে বসেন দুই সরকারপ্রধান।