সুবর্ণচরে এত ধর্ষণ কেন?
সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার সেই নারী তাঁর নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া ছোট মেয়েকে নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তা, কখন কী ঘটে যায়! কারণ, কদিন আগেই ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে পাশের গ্রামের একটি মেয়ে। মেয়েটা দশম শ্রেণিতে পড়ত।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যম বাগ্যার নিজ বাড়িতে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই নারী। বিরোধী দলকে ভোট দেওয়ায় ঘরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ঘটনাটি তখন সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আলাদা পরিচিতি পায় সুবর্ণচর।
সংসদ নির্বাচনের পর সম্প্রতি সুবর্ণচরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। এবার ভোট দিতে যাননি নির্যাতিতা সেই নারী। এখন এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার চলছে। ওই নারী বলেন, ‘আর ভোট দিতে যামু না। ভোটের কথা শুনলেই কইলজায় চিপ মারে।’ মেয়ে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নির্যাতিতা ওই মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কী করমু, ভয়ে বিয়া দিছি। আঁর (আমার) ইজ্জত তো শেষ, যদি মাইয়াগোরও কিছু হই যায়।’
থানা-পুলিশ অর্থ ও প্রভাবের সঙ্গে সমঝোতায় যুক্ত। অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। অপরাধীদের রেহাই পাওয়ার আইনি সুযোগ আছে বলে তারা অপরাধে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।হাবিবুর রছুল, আইনজীবী
সুবর্ণচরের সেই নারীর মতো মেয়েশিশুদের নিয়ে এমন দুশ্চিন্তা চলমান করোনায় যেন আরও বাড়ল। কারণ, গত বছর দেশে নারী নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ধর্ষণ তুলনামূলক বেশি। হাইকোর্টে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে কেবল থানাতেই ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে।
সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাই, লজ্জা লাগে। মানুষ বলে আমরা নাকি ধর্ষণের থানার মানুষ।’
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চরজব্বর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনেই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তখনই জানা গেল, আমিনুলের নামেও ধর্ষণের একটি মামলা আছে। আমিনুল দাবি করেন, তাঁকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষ মোজাম্মেল হোসেন (বর্তমানে চরবাটা ইউপির চেয়ারম্যান) মামলাটি করান। চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধেও ধর্ষণ মামলা আছে। ওই মামলায় চেয়ারম্যান জেলও খেটেছেন বলে জানান আমিনুল।
সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানা সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩ বছর ২ মাসে সুবর্ণচরে ৩০টি ধর্ষণ ও ৭১টি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ৫টি, ২০১৯ সালে ৯টি, ২০২০ সালে ১৪টি। এ ছাড়া ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ২০১৮ সালে ১২টি, ২০১৯ সালে ২৪টি, ২০২০ সালে ৩১টি মামলা হয়। গত দুই মাসে ধর্ষণের মামলা হয়েছে ২টি, ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে ৪টি।
একসময়ের বালুময় সুবর্ণচর এখন মৎস্য ও গবাদিপশুর খামার এবং নানা রবিশস্যের এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। আয়তন ৩৮২ বর্গকিলোমিটার। নোয়াখালী সদর থেকে পাকা সড়ক ধরে যেতে সুবর্ণচরের মাঠে মাঠে ধান, সয়াবিন, তরমুজ, মটরশুঁটিসহ নানা শাকসবজির সবুজে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাল বেঁধে চলছে গরু-মহিষ। কিন্তু এই সৌন্দর্য চাপা পড়ে যাচ্ছে ধর্ষণের মতো ভয়াবহতার নিচে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চরজব্বর থানায় ওসির টেবিল ঘিরে বসেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েকজন নেতা, এঁদের দু-একজন জনপ্রতিনিধিও। সেখানেই সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, গবাদিপশু, ইলিশ আর কৃষিতে এক শান্তি-সুখের জায়গা ছিল সুবর্ণচর। প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক প্রভাবে সেই সুখ হারিয়ে গেছে।
সুবর্ণচরে কেন এত ধর্ষণ?
চরজব্বর ইউনিয়নের চররশীদ মৌজার শামসুল আলমের এক কথায় জবাব, বিচার হয় না, তাই ঘটনা বাড়ছে। সোনাপুর-মান্নাননগর সড়কে দাঁড়িয়ে কথা হয় শামসুল আলমের সঙ্গে। তিনি নামাজ শেষে কয়েকজন মুসল্লিসহ বাড়ি যাচ্ছিলেন। তিনি এলাকার একটি মসজিদের ইমামও। শামসুল আলমের কথায় অন্যরাও সমর্থন জানান।
সর্বশেষ সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ধর্ষণের শিকার হয় উপজেলার শহীদ জয়নাল আবেদীন মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ওই দিনই মেয়েটি বিষ পান করে। পরদিন তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন তার মা-বাবা বাড়িতে ছিলেন না। গোসলখানায় গিয়ে যে তাকে ধর্ষণ করেছিল, মৃত্যুর আগে মা-বাবাকে তার নাম জানিয়ে গেছে মেয়েটি। বাবা দুজনের নামে মামলা করেছেন। আসামিরা ধরা পড়েনি।
চরজব্বর থানার ওসি জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার প্রেক্ষাপট বলছে, ওই ছেলের কারণেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি।’
এলাকায় সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জিয়াউল হক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নেই, এ জন্য যে ধর্ষণ হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এখানকার ৭০ ভাগ মামলাই ভুয়া, ফাঁসানোর জন্য করা হয়। কিন্তু কী করব, কেউ এলে তো আমাদের মামলা নিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তিনটি রিপোর্টই নেগেটিভ। মানে অভিযোগ সত্য নয়।’
নোয়াখালী জেলার চিত্র কেমন
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় ২০১৮ সালে ৫৬টি ধর্ষণ এবং ৬৭টি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়। ২০১৯ সালে ধর্ষণের মামলা বেড়েছে ৭৭টি, আর ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয় ৮১টি। ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণের বছরেও জেলায় ৭৪টি ধর্ষণ এবং ৮২টি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে।
দেখা যায়, একটা ধর্ষণের রেশ না কাটতে আরেকটি ঘটছে। যেমন সুবর্ণচরের আলোচিত গণধর্ষণের ১৯ দিনের মাথায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে। অস্ত্রের মুখে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার নেতৃত্বে ওই ঘটনা ঘটে।
সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানা সূত্র জানায়, ২০১৮ সাল থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩ বছর ২ মাসে সুবর্ণচরে ৩০টি ধর্ষণ ও ৭১টি ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ৫টি, ২০১৯ সালে ৯টি, ২০২০ সালে ১৪টি। এ ছাড়া ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ২০১৮ সালে ১২টি, ২০১৯ সালে ২৪টি, ২০২০ সালে ৩১টি মামলা হয়। গত দুই মাসে ধর্ষণের মামলা হয়েছে ২টি, ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়েছে ৪টি।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুরে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, মারধর এবং নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণের জন্য তিনটি মামলা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও নারী সংগঠনগুলোর বড় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সভাপতি লায়লা পারভীনও প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে আমরা যে অনেক সোচ্চার, এটা বলা যাবে না। আমাদের সবাইকে আরও সক্রিয় হওয়ার দরকার।’
ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার বাইরে ২০১৮ সালে নোয়াখালী জেলায় ৩৯টি অপহরণ, যৌতুকের জন্য ৪৬টি নারী নির্যাতন ও ১২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালে ৬৮টি অপহরণ, যৌন নিপীড়ন ও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনা ৫৬টি, যৌতুকের জন্য হত্যার ঘটনা ঘটে ৭টি। ২০২০ সালে অপহরণের ৬৭টি ও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ৮২টি মামলা হয়।
পুলিশের দেওয়া হিসাবে দেখা যায়, গত বছরের অক্টোবরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ৯১টি মামলা হয়। ওই মাসে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে ভাইরাল হয়।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু নোয়াখালীতে যে অপরাধ বাড়ছে, তা নয়। জনসংখ্যা বাড়ছে, অপরাধের মাত্রাও বাড়ছে। এটা ঠিক যে ধর্ষণ এখানে একটু বেড়েছে।
এত ধর্ষণের কারণ কী? জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, নোয়াখালী ‘একটি প্রবাসী-অধ্যুষিত এলাকা। এখানে অনেক ঘটনা সম্মতিক্রমে হয়। যখন কেউ দেখে ফেলে, তখন ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয়। এর বাইরে কিছু মিথ্যা মামলাও আছে।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে বাইরের লোক বেশি। হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রামগতি, ভোলা থেকে মানুষ এসেছে। এদের মধ্যে চোর-ডাকাত চলে এসেছে। তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বেশি। এর বাইরে চিরাচরিত ক্রিমিনালরা তো আছেই।’ খায়রুল আনম চৌধুরী সুবর্ণচরের বাসিন্দা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সেখানকার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি কথাগুলো বলেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের মতে, জেলায় অপরাধপ্রবণতা বাড়ার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুবর্ণচর বলেন আর একলাশপুর বলেন, প্রায় সব ঘটনার সঙ্গে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হওয়ায় তাঁরা আইনের তোয়াক্কা করেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাও তাঁদের ধরে না। ধরলেও মনে করে তাঁরা ছাড়া পেয়ে যাবেন, কারণ তাঁদের তো নেতা আছেন। আবার কোর্টেও দলীয় প্রভাব রয়েছে। ফলে অপরাধ বাড়ছে।
বিচারে দীর্ঘসূত্রতা
সরকারি হিসাবে দেখা যায়, গত তিন বছরে জেলায় ২০৭টি ধর্ষণ ও ২৩০টি ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি মামলারও বিচার হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিচারে দীর্ঘসূত্রতা ও বিচারহীনতার জন্যই অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না অপরাধীরা। এর সঙ্গে অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবে থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার এজাহার, তদন্তকে দুর্বল করারও প্রয়াস থাকে, যাতে অপরাধীরা পার পেতে আইনি সুযোগ পায়।
এ প্রসঙ্গে সুবর্ণচরের আলোচিত মামলায় প্রধান আসামির নাম বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রছুল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুবর্ণচরের আলোচিত মামলার এজাহারে ঘটনার মূল হোতা রুহুল আমিনের নাম রাখা হয়নি। ধর্ষিতা নিজে জবানবন্দিতে তাঁর নাম বলেছেন, তবু নামটি আসেনি। এর উদ্দেশ্য কী?’
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। গণধর্ষণের ঘটনার পর তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। আইনজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার মামলায় বেশিসংখ্যক সাক্ষী করেও মামলা দুর্বল করা হয়ে থাকে। সুবর্ণচরের সেই আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় আসামিদের আত্মীয়স্বজনসহ ১৬ জনকে সাক্ষী করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কারণ, একটি ধর্ষণের ঘটনা চার-পাঁচজনের বেশি মানুষ দেখার কথা নয়। সাক্ষী বেশি মামলায় অনেক সময় লাগে। নানা দুর্বলতা তৈরি হয় মামলায়।
নোয়াখালীতে ফৌজদারি মামলার অন্যতম আইনজীবী হাবিবুর রছুল। তিনি জেলার বিভিন্ন আদালতে ৪০টির মতো ধর্ষণ মামলার আইনজীবী। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন তিনি। এই আইনজীবীর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, অধিকাংশ হত্যা, ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার মামলায় থানা-পুলিশ অর্থ ও প্রভাবের সঙ্গে সমঝোতায় যুক্ত। আর অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। ফলে অপরাধীদের রেহাই পাওয়ার আইনি সুযোগ আছে বলে তারা অপরাধে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।