সাঈদ খোকনের ‘মানহানিকর বক্তব্যে’ আইনি ব্যবস্থা নেবেন তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর মানিকনগর এলাকার স্লুইসগেট ও পাম্প হাউস পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘অবশ্যই তিনি (সাঈদ খোকন) মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তাঁর বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি। তিনি নিজে চুনোপুঁটি দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকার করেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই এটা মানহানিকর হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে পারি।’
আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন কি না, এ প্রশ্নে তাপস বলেন, মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তো আইনি ব্যবস্থাই নিতে হবে।
তাপসকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ছিল জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এর আগেই ৯ তারিখে আমরা লক্ষ করলাম, তিনি (সাঈদ খোকন) ঘটা করে একটা সভা ডেকে আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন। আমার মনে হয়, এটা ওনার ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।’
গত শনিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নানা অভিযোগ তোলেন শেখ তাপসের বিরুদ্ধে। সাঈদ খোকনের এসব অভিযোগের বিষয়ে গতকাল রোববার তাপস বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।’ গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা দক্ষিণের সাবেক ও বর্তমান মেয়রের এই বাদানুবাদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। আজ আবার সাঈদ খোকনের বক্তব্য নিয়ে বলেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ মে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান আরম্ভ করেছি। সেখানে আপনারা লক্ষ করেছেন, মার্কেটসংক্রান্ত কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সংবাদকর্মীরা আপনারাই সেগুলো অনুসন্ধান করে বের করেছেন। সেখানে বিভিন্নভাবে টাকা লেনদেন হয়েছে। যাঁদের সঙ্গে টাকা লেনদেন হয়েছে, যাঁরা লেনদেন করেছেন, তাঁরাই অভিযোগ এনেছেন।’
তাপস বলেন, ‘আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অথবা আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোভাবেই কোনো অভিযোগ আনিনি। যেসব ব্যবসায়ী ও দোকানদারের অবৈধ দখলে জায়গাগুলো দখলে ছিল, তাঁরা অর্থ লেনদেন করেছেন। এখন তিনি পুরো দোষ আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। সেটা আমি মনে করি খুবই অনভিপ্রেত। শুধু আক্রোশের বশবর্তী হয়ে তিনি এই বিষয়গুলো তুলে ধরছেন।’