সাইমন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ মঙ্গলবার খ্যাতিমান এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র এ তথ্য জানায়।
গত শুক্রবার রোমানিয়ায় সাইমন ড্রিংয়ের মৃত্যু হয়। আজ বাংলাদেশে তাঁর একাধিক সহকর্মী তাঁর মৃত্যুর খবর জানান।
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক সাইমন ড্রিংয়ের সাহসী অবদানের কথা উল্লেখ করেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার তথ্য ও প্রতিবেদন তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশেও তাঁর অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নানা দেশের অসংখ্য সহমর্মী মানুষ। যুদ্ধের মাঠে, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে, শরণার্থীশিবিরে, প্রতিবাদে বা জনমত গঠনে কঠিন সেই সময়ে তাঁরা ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের একজন সাইমন ড্রিং।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বন্ধু হিসেবে ২০১২ সালে সাইমন ড্রিংকে সম্মাননা দেয় সরকার। ১৯৭১ সালে তিনি ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্টার ছিলেন।