সপ্তদশ শতাব্দীর ঈদগাহ

সিলেট নগরের মধ্যবর্তী সাপ্লাই এলাকায় গাছপালায় পরিবেষ্টিত হয়ে আছে সিলেটের কেন্দ্রীয় শাহি ঈদগাহ। গবেষক মোহাম্মদ মুমিনুল হক তাঁর ‘সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ঐতিহাসিক এই ঈদগাহটি ১৭০০ সালের প্রথম দিকে নির্মিত। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্য অনুসারে, ঈদগাহটি সপ্তদশ শতাব্দীতে সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে সিলেটের ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নির্মাণ করেন। এই প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। ১৭৭২ সালে ইংরেজবিরোধী ভারত-বাংলা জাতীয়তাবাদীর প্রথম আন্দোলন এখান থেকেই শুরু হয়েছিল বলে অনেক গবেষক মনে করেন। প্রতিবছর এই ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ঈদে প্রায় দুই লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহের ছবিগুলো সম্প্রতি তুলেছেন আনিস মাহমুদ

ঈদগাহের দৃষ্টিনন্দন মূল ফটক
ঈদগাহের দৃষ্টিনন্দন মূল ফটক
মোগল আমলের এই ঈদগাহ ময়দান থেকে সৈয়দ হাদী-মাদীর নেতৃত্বে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল
মোগল আমলের এই ঈদগাহ ময়দান থেকে সৈয়দ হাদী-মাদীর নেতৃত্বে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল
ঈদগাহ ময়দানের সীমানাপ্রাচীর
ঈদগাহ ময়দানের সীমানাপ্রাচীর
ঈদগাহের পশ্চিম দিকে উঠতে ২২টি সিঁড়ি বাইতে হয়
ঈদগাহের পশ্চিম দিকে উঠতে ২২টি সিঁড়ি বাইতে হয়
ঈদগাহের মেহরাব। মেহরাবের ওপরে একটি গম্বুজ। গম্বুজের চারদিকে ৪টি ছোট আকৃতির মিনার রয়েছে
ঈদগাহের মেহরাব। মেহরাবের ওপরে একটি গম্বুজ। গম্বুজের চারদিকে ৪টি ছোট আকৃতির মিনার রয়েছে
এই ঈদগাহে একসঙ্গে এক লাখের বেশি মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে
এই ঈদগাহে একসঙ্গে এক লাখের বেশি মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে