শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রের ফলাফলে লজ্জা পেলেন তিন প্রার্থী
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের তিন সাংসদ প্রার্থী শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল দেখে খুবই লজ্জা পেয়েছেন। ওই তিন প্রার্থী তাঁদের শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রে কেউ শূন্য, কেউ ৭ আবার কেউ ৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এই নির্বাচন ছিল প্রহসনের নির্বাচন। অতএব এ লজ্জা শুধু তাঁদের না, এ লজ্জা সারা জাতির।
গত রোববারের নির্বাচনে এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলাম ২ লাখ ৭ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের কুঁড়ি সিদ্দিকী ধানের শীষ প্রতীকে ৭১ হাজার ১৪৪ ভোট পান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই আসনে পাঁচজন প্রার্থী লড়েছেন। তাঁর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলাম বিয়ে করেছেন টাঙ্গাইল সদরে। ফলে এই আসনে তাঁর শ্বশুরবাড়ি নেই। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের কুঁড়ি সিদ্দিকী লেখাপড়া করছেন, এখনো তিনি বিয়েই করেননি। তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কাজী আশরাফ সিদ্দিকী বিয়ে করেছেন সখীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারতা গ্রামে। শ্বশুর-শাশুড়ি ভোট দিয়েছেন কাহারতা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রে জামাই আশরাফ সিদ্দিকী লাঙ্গল প্রতীকে মাত্র ৪ ভোট পেয়েছেন। একই কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল লতিফের শ্বশুর-শাশুড়ির লোকজনও ভোট দিয়েছেন। ওই কেন্দ্রে পাখা প্রতীকে আবদুল লতিফ ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭টি। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সফি সরকার বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী জোয়াহেরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বেড়বাড়িতে। এই আসনের বিজয়ী জোয়াহেরুল ইসলাম সম্পর্কে সফি সরকারের চাচাশ্বশুর হন। ওই কেন্দ্রে আম প্রতীকে ভোট পড়েছে শূন্য। শূন্য ভোট পেয়েছেন শুনে সফি বলেন, ‘ফলাফলে নিশ্চয়ই ভুল আছে।’
কাজী আশরাফ বলেন, ‘সরকার চুরি করে আমার সব ভোট নিয়ে গেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি নৌকা মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতাম।’