সব ধোঁয়াশা উড়িয়ে দিয়ে বিশাল নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরিদুল হক অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে গেলেন।
উপজেলার গুঠাইল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একটি বিশাল নির্বাচনী জনসভা হয়। এতে এই উপজেলার চিনাডুলী, সাপধরী, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, গোয়ালেরচর, কুলকান্দি ও পাথর্শী ইউনিয়ন থেকে চার-পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নেন। এ ছাড়া উপজেলা শহর থেকেও লোকজন জনসভায় অংশ নেন। বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যেই পুরো মাঠ মানুষে ভরে যায়। এ সময় কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ পশ্চিম এলাকার সন্তান। তিনি একজন সৎ এবং কর্মদক্ষ মানুষ। আমরা পশ্চিম এলাকার যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত মানুষ। অতীতে অনেক প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু নদীভাঙনের জন্য আসা বরাদ্দ তাঁরা মেরে খেয়েছেন। এবার আমরা নিজের সন্তানকে ভোট দিতে চাই। যাতে তিনি নদীভাঙন রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন। আজকের জনসভা প্রমাণ করে, তিনি কেমন জনপ্রিয়। আজকের জনসভায় হাজার হাজার মানুষ।’
বক্তারা বলেন, ‘পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ নৌকা ও ধানের শীষ বুঝি না। এবার আমরা লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে চিনি। অনেক দেখেছি। আর নৌকা-ধানের শীষ চাই না। আমরা এবার পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ এককাট্টা হয়েছি। আজকের জনসমুদ্রই প্রমাণ করে, কার জনপ্রিয়তা কেমন। গত বুধবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরও জনসভা হয়েছিল। আজকের জনসমুদ্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন, কার জনপ্রিয়তা কত।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘লাঙ্গল ও নৌকা শরিক দলেরই প্রতীক। মহাজোটের নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান, জনপ্রিয়তা ও জনসমুদ্র দেখে ফরিদুল হককে আপনি বসিয়ে দেন। তা না হলে নৌকার ভরাডুবি হবে। আমরা এবার নদীভাঙন এলাকার মানুষ মোস্তফার পক্ষে এককাট্টা হয়েছি। তাঁকে নিয়ে এবার আমরা থাকবই।’
মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, ‘এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে, মানুষ কাকে সাংসদ হিসেবে চান। আমি একজন মহাজোটেরই প্রার্থী। এর কারণ আমার প্রতীক লাঙ্গল। লাঙ্গল মহাজোটেরই অংশ। আপনাদের ভালোবাসায় আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে পশ্চিম অঞ্চলের আর একটিও মানুষের ঘরবাড়ি যমুনা কেড়ে নিতে পারবে না।’