২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

লেখক মুশতাক পুলিশি রাষ্ট্রের বলি: ছাত্রফ্রন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সমাবেশ
ছবি: প্রথম আলো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদকে ‘তিলে তিলে হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ)। লেখক মুশতাককে ‘পুলিশি রাষ্ট্রের বলি’ আখ্যা দিয়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবি করেছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানান সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) নেতারা।

লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মুশতাক গতকাল সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

আজকের সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী অভিযোগ করেন, সরকার দেশে লুটপাট ও মাফিয়াতন্ত্র তৈরি করেছে। পুরো দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তারই বলি হয়েছেন লেখক মুশতাক। এই সরকারের কারণে লেখক মুশতাক তিলে তিলে মারা গেছেন। এমন ঘটনা এখানেই শেষ হবে না, যদি প্রতিরোধ গড়ে তোলা না যায়। তাঁরা লেখক মুশতাক হত্যার বিচার চান।
আল কাদেরী আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, অবিলম্বে নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর খবর আসার পর গতকাল মধ্যরাতেই রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বামপন্থী কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে বের হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁর মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়।

গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাঁরাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‍্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।