আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকল্প ব্যক্ত করে বলেছেন, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। আজ শনিবার বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ যদি দিন দেয় ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরে নিয়ে এসে বাংলাদেশে তার বিচারের রায় কার্যকর করব।’ তারেক রহমানকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির মূল হোতা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা রাজনীতি নয়, লন্ডনে বসে বসে লাটাই ঘোরায়, যে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে তাকে আর খেলতে দেব না।’
এর আগে সকালে শেখ হাসিনা ওলি-আউলিয়াদের পুণ্যভূমি সিলেটে এসেই হজরত শাহজালাল (রহ.), হজরত শাহ পরান (রহ.) এবং হজরত গাজী বোরহান উদ্দিনের (রহ.)–এর মাজার জিয়ারত করেন এবং সেখানে কোরআন তিলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
আদালত এ বছর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে আইভী রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা এবং ৫০০ মানুষকে আহত করার ঘটনার মূল হোতা হিসেবে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া হাইকোর্ট তাঁকে অপর একটি দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে তারেক জিয়া। মানুষ খুন করার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজকে ফেরারি হয়ে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, তথ্য এবং গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও কল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফরুক চৌধুরী, সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আবদুল মোমেন অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।