জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক পুরুষদের টাকনুর ওপর ও নারীদের হিজাবসহ টাকনুর নিচে পোশাক পরার নির্দেশ দিয়ে কাজটি ঠিক করেননি বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কর্মচারীরা অফিসে কী ধরনের পোশাক পরে আসবেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তা ছাড়া জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক এমন নোটিশ দেওয়ার মতো ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও নন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রহিম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে গতকাল বুধবার নোটিশ জারি করেছিলেন। ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, অফিস চলার সময় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুঠোফোনের শব্দ বা মুঠোফোন বন্ধ রাখতে হবে। ইনস্টিটিউটের পুরুষদের টাকনুর ওপরে এবং নারীদের হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরতে হবে। একই সঙ্গে পর্দা মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই নোটিশের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পোশাকের কথা বলা নেই। তবে শালীন, মানানসই পোশাক পরবেন, সেটি বলা আছে। পোশাক–পরিচ্ছদ নিয়ে এ ধরনের নোটিশ দেওয়া যথাযথ হয়নি।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমি হিজাব বা পর্দার বিরুদ্ধে না। কিন্তু যার পছন্দ সে পরবে, যার পছন্দ, সে পরবে না। পুরুষদের টাকনুর ওপরে কাপড় পরার বিষয়টিও তাই। এমন নোটিশ জারি করে উনি (জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক) কাজটি সঠিক করেননি।’
এমন নোটিশ দেওয়ার নির্দেশদাতা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালককে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শোকজ নোটিশ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ১ নভেম্বর রোববার এ–সম্পর্কিত বিষয়ের পরবর্তী হালনাগাদ তথ্য জানানো যাবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।