মৃত ব্যক্তি 'পরীক্ষক'
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ হায়দার দুই বছর আগে মারা গেলেও এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) তাঁকে বহিঃপরীক্ষক করা হয়েছে। এতে হয়রানির শিকার হতে হয় সংশ্লিষ্ট কলেজের ব্যবহারিক পরীক্ষার কমিটিকে।
কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ব্যবহারিক পরীক্ষায় কলেজে জীববিজ্ঞান বিষয়ে বহিঃপরীক্ষকের তালিকায় মুঠোফোন নম্বরসহ সানাউল্লাহর নাম এসেছে। পরে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর স্ত্রী জানান, তিনি ২০১৭ সালে মারা গেছেন। পরে তাঁকে ছাড়াই বোর্ডের নিয়োগ দেওয়া বাকি পরীক্ষকদের দিয়ে জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়েছে। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে ব্যবহারিক পরীক্ষকদের নির্দেশিকা মুদ্রিত কপি দেওয়া হলেও এবার অনলাইনে সরবরাহ করা পরীক্ষকদের নির্দেশিকাটি ছিল হাতে লেখা। এটি কাটাকাটিতে ভরা ছিল।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার জানান, প্রতিবছর কলেজের শিক্ষকদের তথ্য অনলাইনে হালনাগাদ করতে বলা হয়। কিন্তু ওই কলেজের শিক্ষকদের তথ্য হয়তো হালনাগাদ করা হয়নি। ফলে আগের তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁকে বহিঃপরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। এটা ঠিক হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া হাতে লেখা ব্যবহারিক পরীক্ষার শিক্ষকদের নির্দেশিকা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারই প্রথম অনলাইনে ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাড়াতাড়ি করার কারণে এবার হাতে লিখে অনলাইনে তা দিতে হয়েছে। ভবিষ্যতে এমনটি হবে না।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি আমার কলেজের আইসিটি শিক্ষককে ওই তালিকা হালনাগাদ করার দায়িত্ব দিয়েছি। তবে তিনি হালনাগাদ করেছিলেন কি না, তা আমার জানা নেই।’