ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের বিএনপির প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় বের হতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারা দিন মাঠে অবস্থান করছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, তিনি নিজ ঘরে অবরুদ্ধ রয়েছেন। লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় প্রতি রাতে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কর্মীদের কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করাসহ ব্যাপকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
গতকালও তাঁর ভাতিজাসহ বিএনপির দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান হাফিজ উদ্দিন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বিএনপি প্রার্থীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, হাফিজ উদ্দিন মিথ্যাচার করছেন। তিনি ইচ্ছে করে প্রচারে না নেমে ঘরে বসে হত্যা-সংঘাতের পরিকল্পনা কষছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের পাশে লালমোহন উপজেলা পরিষদের কাছে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাড়ি। দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, বাড়ির সামনে লালমোহন বাজার থেকে লাঙ্গলখালী সেতু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অবস্থান করছেন। সড়ক অবরোধ করে নৌকার পথে স্লোগান দিচ্ছেন। হাফিজের বাড়ির ফটক বন্ধ। বাড়ির আশপাশে পুলিশ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে।
লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোথাও কোনো ধানের শীষের পোস্টার নেই। তবে নৌকার পোস্টারের পাশাপাশি হাতপাখা ও লাঙ্গলের পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী গত রোববার উপজেলার সামনে আন্দোলনরত কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ ঢাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে এখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করেছে। হাফিজের হেলমেট বাহিনীর হামলায় ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী আহত হয়েছে। লালমোহনের মানুষ এসব সন্ত্রাসীদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করবে।’
জবাবে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ মুঠোফোনে বলেন, ‘নিজ বাড়িতে বন্দী অবস্থায় আছি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোককে বলে কোনো প্রতিকার পাইনি। তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাড়িতে দাওয়াত খাচ্ছে।’ এ অবস্থায় তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন বলে জানান।