ময়নামতির রানির প্রাসাদ: হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী

>

কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের উত্তরাংশে অবস্থিত এই ‘প্রাসাদ’। স্থানীয়দের কাছে প্রাসাদ হিসেবে পরিচিত হলেও এটি আসলে একটি বৌদ্ধমন্দির বা বিহার। এর আয়তন ১০ একর। প্রত্নক্ষেত্রে স্থাপিত সাইনবোর্ড থেকে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে খননকাজ শুরু হলে পাওয়া যায় চারটি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য কাঠামো। প্রত্নস্থল থেকে পাওয়া প্রত্নবস্তুগুলো অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের বলে অনুমান করা হয়। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে আগরতলার মহারাজা কুমার কিশোর মানিক্য তাঁর স্ত্রীর জন্য এখানে একটি বাগানবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন বলেই প্রত্নস্থলটির সঙ্গে রানির নামটি জুড়ে যায়। এখানে খনন করে পাওয়া গেছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাতিয়ার, জীবাশ্ম কাঠ, কালির দোয়াত, কলস, হাঁড়ি, বাটি, পানির পাত্র, লোহার কাস্তে, ঘর নির্মাণসামগ্রী, পেরেক, শাবল ইত্যাদি। ২০১৬ সালে তৃতীয় দফায় খনন শুরু হয়। পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হলেও পুরো এলাকাটি অরক্ষিত। ছবিগুলো গত শনিবারের।

এই স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পোড়ামাটির ইট।
এই স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পোড়ামাটির ইট।
চারটি নির্মাণ যুগের প্রথম যুগেও একটি ক্রুশাকার মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।
চারটি নির্মাণ যুগের প্রথম যুগেও একটি ক্রুশাকার মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।
প্রত্নস্থলটি পুরু প্রাচীরে ঘেরা।
প্রত্নস্থলটি পুরু প্রাচীরে ঘেরা।
গোমতি নদীর কাছেই নির্মাণ করা হয়েছিল এই স্থাপনা।
গোমতি নদীর কাছেই নির্মাণ করা হয়েছিল এই স্থাপনা।
স্থাপনার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত একটি কূপ।
স্থাপনার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত একটি কূপ।
এই প্রত্নস্থলে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।
এই প্রত্নস্থলে পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।
টিকে আছে ভাঙা প্রাচীর।
টিকে আছে ভাঙা প্রাচীর।
প্রত্ন কেন্দ্রটি সংরক্ষণ করা জরুরি।
প্রত্ন কেন্দ্রটি সংরক্ষণ করা জরুরি।