মনোনয়নপত্র জমা দিলেন হিরো আলম
এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাটির ‘লাঙল’ মার্কার মনোনয়ন না পেয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া বগুড়ার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা.শারমিন আখতারের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নন্দীগ্রামের ইউএনও মোছা.শারমিন আখতার মোবাইলে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আশরাফুল আলম মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। জনগণের ভালোবাসায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।’
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে সিডি বিক্রি এবং পরে কেবল সংযোগের ব্যবসা করতেন হিরো আলম। পরে কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও এবং ৮০টি ইউটিউব চলচ্চিত্র ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁকে নিয়ে ট্রল হয়। ‘মার ছক্কা’ নামে একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে হিরো আলমের সঙ্গে ছবি তুলে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিবিসি হিন্দি, জি নিউজ, এনডিটিভি, ডেইলি ভাস্কর, মিড-ডের মতো ভারতের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করে। সেখানে হিরো আলমকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের তারকা বলে উল্লেখ করা হয়।
গুগলে কাকে সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়, তার একটি তালিকা করে ইয়াহু ইন্ডিয়া। জরিপে দেখা গেছে, ‘সুলতান’ ও ‘দাবাং’ তারকাখ্যাত সালমান খানের চেয়েও বেশিবার খোঁজা হয়েছে হিরো আলমকে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত তিনি।
হিরো আলম যে আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিচ্ছে না। এ আসনে নৌকা প্রতীক পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বর্তমান সাংসদ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, দলটির সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা এবং জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন কবিরাজ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির ও কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, অধ্যাপক আহছানুল হক এবং জাতীয় পার্টির নেতা নূরুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. ইদ্রিস আলী, তরীকত ফেডারেশনের কাজী এম এ কাশেম এবং এনপিপি নেতা আয়ুব আলীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।