মজাহারুল হককে মন্ত্রী করার দাবি
পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচিত দুইবারের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য করার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
মজাহারুল হক প্রধান দীর্ঘদীন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকারকে ৪৮ হাজার ৮২৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমিরকেও পরাজিত করেন। তাঁদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৪১ হাজার ৩৪৯। নওশাদ জমির বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় সাহিত্য সংসদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের এই আসনটি মজাহারুল হক প্রধান ২০০৮ সাল এবং ২০১৮ সালে উদ্ধার করেন। দীর্ঘদিন এই এলাকায় কোনো মন্ত্রী না থাকায় পঞ্চগড়ের উন্নয়ন বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের দাবি, এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেবেন।’
পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পঞ্চগড়-১ আসনে কোনো মন্ত্রী না থাকায় অন্য এলাকার চেয়ে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। আমরা চাই, পঞ্চগড়ের উন্নয়নের স্বার্থে পঞ্চগড়ের মানুষ যেভাবে নৌকাকে বিজয়ী করেছে, সেই হিসেবে মজাহারুল হক প্রধানকে মন্ত্রী করা হবে। আমাদের এই প্রাণের দাবি জননেত্রী শেখ হাসিনা মেনে নিয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আব্বাস আলী, পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক, চেম্বারের সভাপতি আবদুল হান্নান শেখ, পঞ্চগড় সাহিত্য সংসদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, জেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।