ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তি বাড়াতে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ জন্য তিনি ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সকালে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা তাঁর আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেন। আর দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘থাইল্যান্ড-মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে। বিএনপি সরকারের আমলে এই সড়কে যুক্ত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে বিএনপি আমলের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই সড়কে যুক্ত হতে চাননি। আজকের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সড়কে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সড়কে যুক্ত হওয়া গেলে আমরা লাভবান হব।’
এদিকে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ততার বিষয়ে শেখ হাসিনার আগ্রহের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়েছে। যৌথ ঘোষণায় এটাও বলা হয়েছে, ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সংযুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে মেঘালয়ের মেহেন্দ্রগঞ্জে চলাচলের সুযোগ করে দিতে ঢাকাকে অনুরোধ জানিয়েছে দিল্লি।
সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বহুবার সীমান্ত হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। আজকের বৈঠকেও এই ইস্যু তুলেছি। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ আবার জারি করবেন। আমরা কোনো সীমান্ত হত্যা চাই না। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে। আমাদের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এসব বন্ধ করতে হবে। তবে আমরা হতাশ নই। আমরা আশাবাদী।’