বসিয়ে খাওয়াতে চান রেস্তোরাঁ মালিকেরা, নইলে মানববন্ধন
শুধু বাসায় নিয়ে যাওয়া বা অনলাইনে বিক্রির বদলে ক্রেতাদের রেস্তোরাঁয় বসিয়ে খাওয়াতে চান দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকেরা। তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কাজ করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি বৃহস্পতিবার নিজেদের এক বৈঠক শেষে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ দাবি জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোনো নির্দেশনা না এলে আগামী রোববার বেলা ১১টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব ও দেশের ৬৪টি জেলা শহরের প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও একটি দাবি করা হয়। সেটি হলো আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতারি ও সাহ্রি বিক্রির সুযোগ দেওয়া।
সরকার করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য বিধিনিষেধ জারি করেছে। এতে রেস্তোরাঁ থেকে খাবার নিয়ে বাসায় যাওয়া অথবা অনলাইনে বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকার বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ ক্রেতা পাচ্ছে না। বড় শহরের বাইরে অনলাইনে ক্রেতা নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। রেস্তোরাঁর মালিকেরা কঠিন সময় পার করছেন। গত বছর সাধারণ ছুটিকালে ক্ষতির জন্য সরকার ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিলেও পচনশীল খাবারের দোকান আখ্যা দিয়ে রেস্তোরাঁকে কোনো ব্যাংকঋণ দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিক দেউলিয়া হয়ে গেছেন। অনেক মালিক সর্বস্বান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়েছেন। মালিকদের গড়ে ৫০ শতাংশ লোকসান হয়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া করোনা ঠেকানোর বিধিনিষেধের মধ্যেও দোকানপাট ও শপিংমল আট ঘণ্টার জন্য খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেস্তোরাঁর মালিকেরাও ক্রেতাদের আগের মতোই বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ চান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ খাতে ৩০ লাখ মানুষ কাজ করেন। প্রায় দুই কোটি মানুষ নানাভাবে সম্পৃক্ত।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বৈঠকে দাবি না মানা হলে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তাঁরা আশা করেন, সরকার সদয়ভাবে তাদের সমস্যাটি বিবেচনা করবে।