২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

নাশকতার মামলা, প্রার্থীসহ ২২ বিএনপি নেতা কারাগারে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নাশকতার দুটি মামলায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবারের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী রুহুল আমিন দুলালসহ দলটির ২২ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আসামিরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. আবদুল মান্নান আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রুহুল আমিন দুলাল পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে সাংসদ প্রার্থী ছিলেন।

কারাগারে পাঠানো অপর নেতাদের মধ্যে আছেন টিকিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল মৃধা, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তাহসীন জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রনি মুন্সী, হলতাগুলিসাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. রিয়াজ।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় রুহুল আমিন দুলালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের গুদিঘাটা খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর মালামাল খালে ফেলে ক্ষতিসাধন করেন। ২৬ নভেম্বর রুহুল আমিন দুলালসহ মামলার ১৯ আসামি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। ওই মামলার ১৮ আসামি সোমবার পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ ছাড়া গত ৮ নভেম্বর মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বানচালের জন্য মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের পূর্ব কবুতরখালী এলাকায় সড়ক কেটে ও সড়কের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদারসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করা হয়। ২৬ নভেম্বর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদারসহ ৪ আসামি হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের দায়ের করা মামলা দুটি ছিল মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গায়েবি মামলা। আমরা কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির জন্য উচ্চ আদালতে যাব।’

সরকারি কৌঁসুলি খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুটি মামলায় বিএনপির ২২ নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।