অপারেশন ক্লিনহার্ট
দায়মুক্তি আইন হাইকোর্টে বাতিল, সরকারে বলবৎ
আদালত দায়মুক্তি বাতিল করলেও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো কার্যকর। ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনেরও উদ্যোগ নেই।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ক্লিন হার্টে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মৃত্যু অর্থাৎ নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুকে দায়মুক্তি দিয়েছিল ২০০৩ সালের একটি আইন। এক যুগ পরে এই আইনকে অসাংবিধানিক এবং জন্ম থেকে বাতিল বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে উচ্চ আদালত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত ফিলিপাইনের একটি আইনের আদলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আইন করতে বলেন। ফিলিপাইনের আইনটির নাম, হিউম্যান রাইটস ভিকটিমস অ্যান্ড রিকগনিশন অ্যাক্ট, ২০১৩।
এসব নির্দেশ-নির্দেশনার বাস্তবায়ন আজও হয়নি। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের দ্বৈত বেঞ্চ দায়মুক্তি আইন বাতিলের রায় দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। ‘জেড আই খান পান্না বনাম বাংলাদেশ ও অন্যান্য’ মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের ওই রিটের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো আপিল করেনি। আইনের চোখে রায়টির কার্যকারিতা তাই বলবৎ রয়েছে।
অথচ বাতিল ঘোষিত দায়মুক্তি আইনটি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো কার্যকর হিসেবেই দেখানো হচ্ছে। সরকার ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনেরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংসদ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবিধানে ফিলিপাইনের মতো কোনো আইন করেনি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা বাহিনী, তৎকালীন বিডিআর, পুলিশ, আনসার ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর অপারেশন ক্লিনহার্ট অভিযান শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর। এটা চলে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
তারপর যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সব ধরনের কাজকে সুরক্ষা দিয়ে জাতীয় সংসদ ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি আইন, ২০০৩’ পাস করে। চার মাসের অভিযানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নিহত হওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। যৌথ বাহিনী বলেছিল, তাঁরা সবাই হৃদ্রোগে মারা গেছেন।
এই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালের ১৪ জুন হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান। তাঁর পক্ষে মামলাটি মূলত পরিচালনা করেছিলেন শাহদীন মালিক।
সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের আওতায় মৌলিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগ এনে রিটটি করা হয়। এটি ফৌজদারি বা দেওয়ানি আইনে দায়ের করা কোনো সাধারণ ক্ষতিপূরণের মামলা ছিল না। কিন্তু হাইকোর্ট সাংবিধানিক অধিকার বলে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছিলেন তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন। হাইকোর্টের ওই রায় অমান্য করা আদালত অবমাননা কি না জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলব যে আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আইনটি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা দরকার। অবশ্য সেখানে আছে বলেই আইনটির কোনো কার্যকারিতা নেই।’
মোতাহের হোসেনের কথায়, ক্লিনহার্ট হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগীরা যদিও আজ পর্যন্ত কেউ মামলা করেননি। তবে হাইকোর্টসহ দেশের যেকোনো আদালতে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করার সুযোগ এখনো খোলা আছে। ২০১৫ সালের রায়টিতেই তা পরিষ্কার করে বলা আছে।
ওই মামলার আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালে উচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ আইনটির অবৈধতার প্রশ্নে কোনো বিরোধিতা করেনি। আবেদনকারীরা ‘অপারেশন ক্লিনহার্টে’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের হাতে ৫৭ ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবরের কপি জমা দিয়েছিলেন।
শাহদীন মালিক বলেন, ভুক্তভোগীরা কেউ মামলা করেননি বলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখার বিধানের বিরোধিতা করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তার অর্থ হলো আইনটি যে বেআইনি, সেটা রাষ্ট্র মেনে নিয়েছে। তাঁর কথায়, আইনের চোখে আইনটির অস্তিত্ব নেই। তাই ভুক্তভোগীদের তরফে বিচার চেয়ে মামলা করার সুযোগ সব সময় অবারিত।
দেশের ইতিহাসে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলেই প্রথম আনুষ্ঠানিক অর্থে পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড পরিচালনার সূচনা ঘটে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দিয়ে প্রধানত বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ও ফেরার ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী মেরে ফেলা হয়। পরে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
দায়মুক্তি আইন
২০০৩ সালের দায়মুক্তি আইনে বলা হয়েছিল, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, জনগণের নিরাপত্তা বিধান, সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে দেশে শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার কর্তৃক প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ১৬ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে প্রদত্ত আদেশ এবং পরের আদেশাবলী অনুসারে ১৬ অক্টোবর, ২০০২ থেকে ৯ জানুয়ারি, ২০০৩ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যৌথ অভিযানের যাবতীয় কার্যাদির জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দায়মুক্ত করা জনস্বার্থে সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলে আইন করা হলো।’
ওই সময়ে নিহতদের পরিবারের পক্ষে কেউ চাইলে অবশ্য যেকোনো মুহূর্তে আদালতে প্রতিকার চেয়ে মামলা করতে পারেন। ক্ষতিপূরণ চেয়েও তাঁরা মামলা করতে পারেন। আদালত প্রত্যেক দরখাস্তকারীর অবস্থা বুঝে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্দিষ্ট করতে পারেন। আদালত রায়ে বলেছিলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ মিডিয়া রিপোর্টগুলোই বলছে, ২০০২-২০০৩ সালে ৮৫ দিনের ব্যবধানে অন্তত ৪৩ ব্যক্তি কেবল নিরাপত্তা হেফাজতেই নিহত হন।
কক্সবাজারে সাম্প্রতিক মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের ওই রায়ের কতগুলো পর্যবেক্ষণকে আইন বিশেষজ্ঞরা প্রাসঙ্গিক মনে করেন। আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ বলেই নয়, বিএনপি আমল থেকে অব্যাহতভাবে সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতায় তিনি সক্রিয় রয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে জনস্বার্থে ওই মামলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
শাহদীন মালিকের কথায়, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দায়মুক্তি আইনের বিরোধী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার রুদ্ধ করাসংক্রান্ত ইনডেমনিটি বিল সংসদে বাতিল হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে ২০০৩ সালের ওই দায়মুক্তি আইনটি বাতিল করার বিল তারা আনতে পারে। এতে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে দায়মুক্তি না দিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার জনগণের কাছে পুনর্ব্যক্ত করা হবে। প্রশাসনের যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁরাও একটা বার্তা পাবেন।
অবশ্য শাহদীন মালিক এ কথাও বলেন যে ‘গত পাঁচ বছরেও সংসদ ২০০৩ সালের দায়মুক্তি আইনটি বাতিল করেনি। ভবিষ্যতে করবে, তার সম্ভাবনা দেখি না। তবে সে কারণে আইনটিকে জীবিত মনে করার কারণ নেই। আইনের চোখে ২০১৫ সাল থেকেই এটি মৃত।’
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
২০১৫ সালে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণগুলো আজকের প্রেক্ষাপটেও প্রাসঙ্গিক। উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণগুলো হলো:
এক. ১৯৪৯ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ বিচারপতি লর্ড ডেনিং বলেছিলেন, কেউ আশা করেন না যে নির্বাহী বিভাগ সর্বদা পাপমুক্ত থাকবে। তারা পাপের দায়ে অভিযুক্ত হবে। কারণ, তার হাতেই ক্ষমতা। সেই ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করা হলে সেটি হবে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র। অপব্যবহার করলে সেটি হবে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র। দেশটাকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হতে দেওয়া কারও উচিত হবে না।
এ কথার অর্থ হলো, লর্ড ডেনিং যে উক্তি ব্রিটেনের উদ্দেশে উচ্চারণ করেছিলেন, সেটা বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য।
দুই. হত্যা ও নির্যাতন থেকে দায়মুক্তি দেওয়া যেকোনো ধরনের সরকারি আদেশ, আইন বা বিধিবিধান তৈরি করা হবে বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৫(৩), ৩৫(৫) এবং ৪০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
এসব অনুচ্ছেদে যেকোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রকাশ্য স্বাধীন আদালতে বিচার লাভের অধিকারের স্বীকৃতি আছে।
আদালত বলেছেন, এমনকি দুর্ধর্ষ কোনো অপরাধী তাঁর কথিত অপরাধের বিষয়ে নিজের মতো করে নির্ভয়ে আদালতের সামনে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই তাঁর সঙ্গে লাঞ্ছনাকর আচরণ করা যাবে না। এমনকি তাঁর নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাবে না।
আদালত বলেন, সন্দেহভাজনকে কোনোভাবেই শারীরিকভাবে নির্মূল কিংবা যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে খুন করতে পারে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও নিজেরা আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। অথচ তেমনটা করার মাধ্যমে তাঁরা সংবিধানের উল্লিখিত বিধানাবলির কার্যকরতা হরণ করছেন।
তিন. আইন করে অভিযুক্ত কারও বিচার আদালতে নিষিদ্ধ করা চলে না। তাই এ-সংক্রান্ত নিরঙ্কুশ দায়মুক্তি দেওয়ার মতো বিধান ন্যায্য নয়, বরং এটা বর্বরোচিত এবং বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য ধ্বংসাত্মক।
বঙ্গবন্ধু হত্যার অভিযুক্তদের বিচার যাতে আদালত না করতে পারেন, সে জন্য পঁচাত্তরে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের আনা পঞ্চম সংশোধনীতে অধ্যাদেশটিকে বৈধতা দেওয়া হয়। অবশ্য পরে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, এ রকম দায়মুক্তি আইন পাস করার ক্ষমতা সংসদের নেই। কারণ, সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। ২০১৫ সালের রায়েও এই নজির আলোচিত হয় এবং বলা হয় যে সংবিধানের ৪৬ অনুচ্ছেদে দায়মুক্তির যে বিধান আছে, সেটা মুক্তিযুদ্ধকালীন (১ মার্চ, ১৯৭১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ৭১) পরিস্থিতির জন্যই প্রযোজ্য ছিল। সে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম (দায়মুক্তি) আদেশ, ১৯৭৩ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই যুক্তি এ ক্ষেত্রে অচল।
চার. পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতন ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া প্রতিটি মুক্ত সমাজেই গভীর উদ্বেগের বিষয়। নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যাকাণ্ড মানব মর্যাদার নগ্ন লঙ্ঘন। সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থার্ড ডিগ্রি দেওয়া হয় (রিমান্ডে নিয়ে নানামুখী নির্যাতন)। কিন্তু এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় না, বরং এতে করে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ‘পেছনের দরজার কতিপয় গোপন অ্যাজেন্ডা’ চরিতার্থ হতে পারে, যা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না।
পাঁচ. নাগরিক সমাজের অভিপ্রায়কে সন্তুষ্ট করতে আদালতের দায় রয়েছে। আদালত চরম বাস্তবতার প্রতি অন্ধ হয়ে থাকতে পারেন না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কোনো শাস্তি দিলেই সেটা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সান্ত্বনার কারণ হতে পারে না। তাই তাদের ক্ষতে মলম দিতে হলে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিতে হবে। আসলে তাদের রাষ্ট্র কর্তৃক আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়াই সম্ভবত একমাত্র কার্যকর উপায় হতে পারে।
ছয়. তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন যদিও বলছেন, বিচারবহির্ভূতভাবে কাউকে খুন-জখম করার মতো ফৌজদারি অপরাধের দায় যৌথ বাহিনীর অভিযুক্ত সদস্যের ব্যক্তিগত। সরকার এই দায় নেবে না। তাই রুলটি বাতিলযোগ্য।
মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, আইনটি বৈধ না অবৈধ, তিনি আসলে সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। কারণ, সরকার আইনটি বাতিলের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু রুলে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের বিষয়টিও ছিল। তিনি শুধু সেই অংশটির বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, দরকার হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকা দেবে, সরকার দেবে কেন। কিন্তু আদালতে তা নাকচ হয়। মোতাহের হোসেন গত বছরের জুলাইয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন।