দণ্ডিত অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামির জামিন

রিফাত শরীফ
ফাইল ছবি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় দণ্ডিত অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তাদের করা পৃথক আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।

ওই মামলায় বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান গত বছরের ২৭ অক্টোবর রায় দেন। ১৪ আসামির মধ্যে রায়ে ছয় আসামিকে ১০ বছর করে, চার আসামিকে ৫ বছর করে এবং এক আসামিকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজন জামিনের আবেদন জানান। শুনানি নিয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন দেওয়া হয়।

ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। আজ সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‌‘তিনজনের মধ্যে ৬ জানুয়ারি একজন এবং ১৩ জানুয়ারি অপর দুজন হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তিনজনের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের করা পৃথক আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন।’

এর আগে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ। রায়ে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে মিন্নিসহ অন্যরা হাইকোর্টে আপিল করেন, যা শুনানির জন্য ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছেন উচ্চ আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন রিফাত শরীফের বাবা বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ছিলেন মামলার প্রধান সাক্ষী। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

১ সেপ্টেম্বর মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছরের ৮ জানুয়ারি বরগুনার শিশু আদালত ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।