২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

তিন জেলায় ৮৪ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন

>

• টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে ৩৮ জন
• কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনে ২৬ জন
• নেত্রকোনার ৫টি আসনে ২০ জন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে ৫০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন জামানত হারাচ্ছেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন ও নেত্রকোনার ৫টি আসনে ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জন জামানত হারাচ্ছেন।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

টাঙ্গাইল-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সরকার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু মিল্লাত হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী ও জাকের পার্টির প্রার্থী সালামত হোসাইন খানের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-২ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিকল্পধারার মুনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এস এম শামছুর রহমান, জাকের পার্টির এনায়েত হক মঞ্জু ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহিদ হোসেন খানের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-৩ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এস এম চান মিয়া, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের আবু হানিফ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম, জাকের পার্টির খলিলুর রহমান ও বিএনএফের প্রার্থী আতাউর রহমান খানের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক সিদ্দিকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মির্জা আবু সাঈদ, জাকের পার্টির মোন্তাজ আলী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুশতাক হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তবে এ আসনে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাদেক সিদ্দিকী ও সৈয়দ মুশতাক হোসেন ভোটের আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

টাঙ্গাইল-৫ আসনে আটজন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু তাহের, বিএনএফের শামীম আল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খন্দকার ছানোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী সৈয়দ খালেকুজ্জামান মোস্তফার জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-৬ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মামুনুর রহমান, বিএনএফের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আখিনুর মিয়া ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-৭ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শাহিনুর ইসলাম, খেলাফত মজলিসের সৈয়দ মজিবর রহমান ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের প্রার্থী রূপা রায় চৌধুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-৮ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল লতিফ মিয়া ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শফি সরকারের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন, জেলা সিপিবির সম্পাদক এনামুল হক ও জেএসডির প্রার্থী আবদুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সালাউদ্দীন, সিপিবির প্রার্থী নূরুল ইসলাম, জাকের পার্টির আবদুল জব্বার, এনপিপির তারেক মো. শহীদুল ইসলাম ও মুসলিম লীগের প্রার্থী মীর আবু তৈয়বের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলমগীর হোসাইন, সিপিবির এনামুল হক, জাসদের শওকত আলী ও গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিলোয়ার হোসাইন ভূঁইয়ার জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আহসানউল্লাহ ও খেলাফত মজলিসের প্রার্থী খায়রুল ইসলামের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ইব্রাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন, সিপিবির ফরিদ আহাম্মদ, এনপিপির মো. শাহ আলম ও জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী জেএসডির নেত্রী সেলিনা সুলতানার জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ মুসা খান, জাপার নূরুল কাদের ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী রুবেল হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী কায়সার কামাল, সিপিবির আলকাছ উদ্দিন মীর, ইসলামী আন্দোলনের মো. মামুনুর রশিদ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা-২ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী বিশিষ্ট অর্থোপেডিকস চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক, সিপিবির মোশতাক আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের মো. খুরশেদ আলী, জাকের পার্টির মো. বরকত উল্লাহ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সজীব সরকারের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা-৩ আসনে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিলালী, সিপিবির আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের এহ্তেশাম সারওয়ার, জাতীয় পার্টির জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা-৪ আসনে চারজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে সিপিবির প্রার্থী জলি তালুকদার ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা-৫ আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন জামানত হারাচ্ছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী আবু তাহের তালুকদার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আবদুল ওয়াহহাব হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এম আর মাসুদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শামীম হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

নেত্রকোনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে পড়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না হওয়ায় এ জেলার ২০ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা]