২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জাল টাকার মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

সাহেদ করিম
ফাইল ছবি

জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ দুজনের বিরুদ্ধে আজ সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৫ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম।

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সালাহউদ্দিন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, জাল টাকা উদ্ধারের মামলার বাদীসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা হলেন মামলার বাদী র‌্যাব-১–এর কর্মকর্তা মজিবুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সানাউল্লাহ, সিপাহী আনিছুর রহমান ও ল্যান্সনায়েক মো. নুরুল হক।

এ মামলায় কারাগারে থাকা সাহেদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে আদালতে হাজির করা হয়।

জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গত বছরের ১৬ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। মামলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধারের কথা বলা হয়। আর গত বছরের ২ নভেম্বর সাহেদ ও মাসুদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। গত বছরের ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালান র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিনের মাথায় ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন ১৬ জুলাই সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও মাদক উদ্ধার করে।

চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১০ সালে ঢাকার একটি আদালত সাহেদকে ছয় মাসের সাজা দেন। উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা আছে। এ ছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে।