২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জনগণের সেবা করার সুযোগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার, ১২ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় দেশসেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। আজ বুধবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এ দেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্যবিপর্যয় ঘটবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন আর তারা ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়েছে, শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজমাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনি এবং অগ্নি–সন্ত্রাসকারীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি, তাদের সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা ওই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে, তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী, স্বাধীনতার শত্রু, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি–সন্ত্রাসকারী; তাদের নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, তাদের উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর এবং দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভায় শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের প্রতিটি কাজই জনকল্যাণের জন্য নিবেদিত। আর একটি শিক্ষিত জাতি পারে একটি দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে। সে জন্য শিক্ষাকে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। ব্যক্তিজীবনে চাওয়া–পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের উন্নত জীবন দেওয়াই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কাজেই সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আর একটিবার দেশসেবার সুযোগ করে দেবেন।’ বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।’

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্‌মদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজ ও ফেরদৌস।