জনগণ কখনো ভুল করে না, নারায়ণগঞ্জে তা প্রতিভাত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারায় এটিই প্রতীয়মান হয়েছে যে জনগণ কখনো ভুল করে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ কখনো ভুল করে না, এটা হলো বাস্তবতা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেটাই প্রতিভাত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে ও জনগণের ভোটের অধিকারে। জনগণই ভোট দিয়ে তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচন করবেন, যাঁরা তাঁদের জন্য কাজ করবেন। কারণ, জনগণ কখনো ভুল করেন না, এটা হলো বাস্তবতা। কাজেই জনগণের ওপর আস্থা রেখেই আমরা সব রকম কাজ করি।’
নারায়ণগঞ্জে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষ তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সব মানুষকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিরাট দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।
নারায়ণগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে জয়যুক্ত করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের ভোগ-বিলাসের কথা না ভেবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিএনপি আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না বলেই সব সময় অপপ্রচার চালায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের একই অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত ৩৬ জন কাউন্সিলর শপথ নেন। কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সিটির মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ ও ২০১৬ সালের সিটি নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৬ জানুয়ারির সিটি নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতীক ছিল নৌকা। আর তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকারের প্রতীক ছিল হাতি।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী মোট ১৯২টি কেন্দ্রে সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। দুই প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য ৬৬ হাজার ৫৩৫।
এবারের সিটি নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন।
২৭ জানুয়ারি সিটি নির্বাচনে বিজয়ীদের গেজেট প্রকাশিত হয়।