চকবাজারের আগুন: ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে হতাহত হওয়ার ঘটনার মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক সোহেল ওরফে শহীদ ও হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। বলা হয়, ভবনটি মূলত আবাসিক। আবাসিক এলাকা সত্ত্বেও আবাসিক ভবনকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে জানার পরও গুদাম ভাড়া দেওয়া হয়। গুদাম হিসেবে ভাড়া দেওয়ায় ক্ষেত্রে অসাবধানতা ও আইনপরিপন্থী কাজ করেছেন। এ কারণে আগুনে ৭০ জন লোক মারা গেছেন। আরও বহু লোক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ আদালতে দাবি করে, চুড়িহাট্টার আগুনের সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন। আসামিরা কোনো অবহেলা করেননি। ভবনে আগুন লাগায় তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আসামিরা আগুন লাগাননি। তাঁরা নিজেরাই মারা যেতে পারতেন। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন ও এর আশপাশের ভবনে আগুন লেগে ৭০ জন মারা যান। বহু লোক আহত হন। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে নিহত জুম্মনের ছেলে আসিফ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ২১ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে হাসান ও সোহেলের নাম উল্লেখ করেন। অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি সোহেল ও হাসান উচ্চ আদালত থেকে গত ১৩ মার্চ জামিন পান। উচ্চ আদালত তিন সপ্তাহের জামিন দিয়ে আসামিদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
আদালতকে পুলিশ বলেছে, ৭০ জনের প্রাণহানি ছাড়াও আগুনে পুড়ে গেছে প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মামলা তদন্ত করছেন চকবাজার থানার পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম।