গাইবান্ধায় ২৪ প্রার্থী জামানত হারালেন
গাইবান্ধার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে নয়জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, ইসলামী আন্দোলনের
হাতপাখা প্রতীকের মো. আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর প্রতীকের আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ, গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের শরিফুল
ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের হাফিজুর রহমান, বাসদের মই প্রতীকের মো. গোলাম রব্বানী শাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকের কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের আফরুজা বারী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কুড়াল প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন সিপিবির কাস্তে প্রতীকের মিহির ঘোষ, ইসলামী আন্দোলনের মো. আল-আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের মাওলানা যুবায়ের আহমদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের জিয়া জামান খান এবং স্বতন্ত্র প্রাথী সিংহ প্রতীকের মকদুবর রহমান।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই জামানত হারান। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল
প্রতীকের কাজী মশিউর রহমান, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের আবুল কালাম, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের মো. ছামিউল আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খন্দকার মো. রাশেদ এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের সানোয়ার হোসেন।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ফারুক আলম সরকার, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল এবং সিপিবির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী যজেস্বর বর্মন।