২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

গাইবান্ধা-৩ আসনে আ. লীগের ইউনুস আলী জয়ী

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দুই উপজেলার ১৩২টি কেন্দ্রের ফলে ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী দিলারা খন্দকার শিল্পী পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৮৫ ভোট। রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

নির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্য তিনজন হলেন—জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস্‌ পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ। এই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি-জামায়াত কোনো প্রার্থী দেয়নি। জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ভোট কারচুপি ও অনিয়মের আশঙ্কায় গত ১০ জানুয়ারি তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই আসনের ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান। ফলে এই আসনে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনঃতফসিল ঘোষণা করে।

নির্বাচন কমিশনার সূত্র জানায়, এখানে ১৩২টি কেন্দ্রে ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন।

এই জয়ের পর ৩০০ আসনের সংসদে এককভাবে আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৭। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের আসন সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৮। কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনে ৩০ ডিসেম্বর ভোটে নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু শপথ নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান। এই আসনে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।