>২০০৮ সালের হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর ব্যবসা থেকে বছরে ৫ লাখ টাকা আয়। এবার ব্যবসা থেকে আয় নেই।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ খুররম খান চৌধুরী মৎস্য খামার, কৃষি ও বৃক্ষরোপণকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছিলেন। এই তিন খাত থেকে বছরে তাঁর আয় হতো ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে তিনি পেশা পাল্টিয়েছেন।
এখন খুররম খান চৌধুরী পেশায় সাংসদ ও ব্যবসায়ী। তবে তাঁর আয় আসে কৃষি খাত থেকে। ওই খাত থেকে বছরে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আয় করেন। নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খুররম খান চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। ২০০৮ সালের হলফনামায় ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর ৫ লাখ টাকা আয় হতো। তবে এবারের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে কোনো আয় দেখাননি। ২০০৮ সালে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনে নিজ নামে নগদ ২৩ হাজার টাকা ছিল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩০ হাজার টাকা। এবার তাঁর নামে নগদ রয়েছে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৭ লাখ টাকার মতো। স্ত্রীর নামে ৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে। এ ছাড়া ৪ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ১৫ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে। তাঁর নিজ নামে কোনো কৃষিজমি নেই। তবে যৌথ মালিকানায় তাঁদের ১১ একর কৃষিজমি ও ২০ একর মৎস্য খামার রয়েছে। তাঁর কোনো দায়দেনা নেই।
দলীয় কয়েকজন নেতা–কর্মী ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুররম খান চৌধুরী বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে তিনি নান্দাইল আসন থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ (বিএনপি) নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে নান্দাইল আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও একই দলের হয়ে ১৯৯১ সালে ঈশ্বরগঞ্জ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালে নান্দাইল আসনে বিএনপি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। নান্দাইলের খুররম খান চৌধুরীই একমাত্র নেতা, যিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচন বাদে সব কটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
প্রার্থীদের হলফনামার বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইলের কয়েকজন ভোটার নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে ততটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবু প্রার্থীদের হলফনামা দেখে আমরা তাঁদের সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ করতে পারি।’