করোনা রোগী তদারকিতে কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরামর্শ ও তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা আছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের হাসপাতালে কতগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ বেড) আছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের শুনানিতে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব তথ্য জানতে চান। রাষ্ট্রপক্ষকে আগামী বুধবারের মধ্যে ওই সব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের ‘আইসিইউ বেড অধিগ্রহণ’ ও অনলাইনে ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন গত শনিবার ওই রিটটি করেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে যুক্ত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, করোনা রোগীদের পরামর্শ ও তদারকির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কী ব্যবস্থা আছে এবং দেশে কতগুলো আইসিইউ বেড আছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বুধবার এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান প্রথম আলোকে বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে, সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ১৬৯টি আইসিইউ বেড আছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৩২টি বেড আছে, বাকিগুলো বেসরকারি হাসপাতালে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতলে ঘুরে ভর্তি হতে পারছে, না খবরও এসেছে। এ অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের আলোকে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেডগুলো অধিগ্রহণ ও অনলাইনে সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।