ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক ৭ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক সোহেল ওরফে শহীদ ও হাসানবে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের করা রিমান্ডের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
মামলার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল চকবাজার থানা-পুলিশ। আসামিপক্ষ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়েছিল।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত এই দুই আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চকবাজারে আগুনের ঘটনায় করা মামলার এই দুই আসামি গত মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত সে দিন জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ভবনটি মূলত আবাসিক। তা সত্ত্বেও আবাসিক ভবনকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি জানার পরও গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অসাবধানতা ও আইন পরিপন্থী কাজ হয়েছে। এর ফলে আগুনে ৭০ জনের বেশি লোক মারা গেছে। বহু লোক আহত হয়েছে।
আসামিপক্ষ আদালতে দাবি করে আসছে, চুড়িহাট্টার আগুনের সঙ্গে আসামিরা জড়িত নন। আসামিরা কোনো অবহেলা করেনি। ভবনে আগুন লাগায় তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আসামিরা আগুন লাগাননি। আগুনে তাঁরা নিজেরাই মারা যেতে পারতেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন ও তার আশপাশের ভবনে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে নিহত জুম্মনের ছেলে আসিফ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ২১ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। মামলায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে হাসান ও সোহেলের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামি সোহেল ও হাসান উচ্চ আদালত থেকে গত ১৩ মার্চ জামিন পান। উচ্চ আদালত তিন সপ্তাহের জামিন দিয়ে আসামিদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
আদালতকে পুলিশ বলেছে, ৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ছাড়াও আগুনে অনেক কিছু পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করছেন চকবাজার থানার পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম।