এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না জাহিদুলের
এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) অংশ নেওয়ার কথা ছিল পটুয়াখালীর বাউফলের কাছিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামের। লেখাপড়ার পাশাপাশি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন কাছিপাড়া আবদুর রশিদ মিয়া ডিগ্রি কলেজের এই শিক্ষার্থী। কিন্তু প্রশাসনের তালিকাভুক্ত নিষিদ্ধ যান ট্রলির ধাক্কায় প্রাণ হারাতে হলো ১৮ বছর বয়সী এই তরুণকে।
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার বাহেরচর-কাছিপাড়া সড়কের বলাই-কানাই দিঘির পূর্বপাশ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মো. আল আমিন (২০) নামে একই কলেজের আরেক ছাত্র আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে আজ সকাল সোয়া ১০টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা কলেজ শিক্ষার্থীরা ট্রলির চালক ও মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে সড়কে অবরোধ করেন।
নিহত জাহিদুলের বাবার নাম আবদুস ছালাম মৃধা। আহত মো. আল আমিন কাছিপাড়া আবদুর রশিদ মিয়া ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি বাকেরগঞ্জ এলাকায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলে করে জাহিদুল ও আল আমিন বাহেরচর বাজার থেকে কাছিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে বলাই-কানাই দিঘির পূর্ব পাশ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির ট্রলি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে জাহিদুল মারা যান। এ ঘটনার পরপরই ট্রলি ফেলে পালিয়ে যায় চালক। তবে আশপাশের লোকজন ট্রলিটি আটক করেছে।
কাছিপাড়া আবদুর রশিদ মিয়া ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মো. আবু হাসান মিরণ বলেন, সড়কে চলার কোনো অনুমতি না থাকলেও খেত চাষাবাদের যন্ত্র ট্রলি অবাধে সড়কে চলছে। এসব যানবাহনের চালকের কোনো প্রশিক্ষণ কিংবা লাইসেন্স নেই। এ কারণেই নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই।
অভিযোগ পেলে ট্রলি চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।