রাঙামাটিতে ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার ও জেএসএসের উষাতন তালুকদার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বেলা তিনটায় জেএসএসের প্রার্থী (সিংহ) ও বর্তমান সাংসদ উষাতন তালুকদার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উষাতন তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসব নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত করার শামিল।
তিনি দাবি করেন, জেএসএসের কোনো অবৈধ অস্ত্র নেই। তাঁর ভোট ডাকাতির অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
উষাতন তালুকদার আরও অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া বাজারে প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা হামলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জেএসএসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। তাদের মারমুখী আচরণের কারণে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ফিরে আসতে হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সৌখিন চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জুয়েল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি রীনা চাকমা প্রমুখ।
জেএসএস প্রার্থীর দুই ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটায় রাঙামাটি শহরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। তিনি অভিযোগ করেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসএস অবৈধ অস্ত্র দিয়ে ভোটারদের জিম্মি করে ভোট ডাকাতি করেছে। এ সময় ৫৩টি ভোটকেন্দ্রে ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ ভোট ডাকাতি করা হয়েছিল। এবার তা করতে দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতববর, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সহসভাপতি জ্যোতির্ময় চাকমা প্রমুখ।