পবিত্র শবে মিরাজ আজ

পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ বা শবে মিরাজ আজ সোমবার। মিরাজের ঘটনা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইসলাম ধর্মের তাৎপর্যপূর্ণ এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র শবে মিরাজ পালন করেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মিরাজের ঘটনার মধ্য দিয়েই সালাত বা নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়। এ রাতেই প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর নবুওয়াতের দশম বছরে বা ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক রাতে তিনি কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ বা আল-আকসা মসজিদে গমন করে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। তাঁর মসজিদুল আকসায় গমনের এ ঘটনাকে কোরআনের ভাষায় ‘ইসরা’ বলা হয়। সেখান থেকে তিনি ‘বুরাক’ নামের বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্ব আকাশে গমন করেন এবং এ ঘটনাকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। এ সফরে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)।

জিবরাইল (আ.) হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থিত ‘সিদরাত-আল মুনতাহা’, বেহেশতের নদী ও ফেরেশতাদের জন্য আল্লাহর নির্ধারিত ইবাদতখানা ‘বায়তুল মামুর’ পরিদর্শন করান। এরপর হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহপাকের সাক্ষাৎ লাভ করেন।

বিশেষ এ দিনটিকে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে মসজিদে, নিজ গৃহে কিংবা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজকার ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেন।

আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে আজ বেলা দেড়টায় (বাদ জোহর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘মিরাজুন্নবী (সা.)–এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক সরকার সারোয়ার আলম আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাভার সিটি সেন্টার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী। মোনাজাতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।