স্থানীয় সরকার সংস্কারের বিষয়ে অংশীজন পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

‘স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে অংশীজন পরামর্শ সভা’ সম্প্রতি জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এনআইএলজি) অনুষ্ঠিত হয়েছেছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে অংশীজন পরামর্শ সভা’ সম্প্রতি জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে (এনআইএলজি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহযোগী সংস্থা ও নেটওয়ার্কসমূহকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং এনআইএলজি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। পরামর্শ সভায় ৬০টির বেশি সংস্থা যৌথভাবে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত প্রদান করে। সভায় সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী এবং কার্যকরী করতে প্রস্তাব করেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের (এলজিআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সিডা, জাইকা এবং এনআইএলজির প্রতিনিধিরা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এনআইএলজির পরিচালক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কারের প্রক্রিয়ায় মানসিকতার পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আজকের সভার সুপারিশ ও পরামর্শগুলো ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আগামী নির্বাচিত সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। তরুণ প্রজন্মকে এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য, কারণ তারা ভবিষ্যতের নেতা এবং নীতিনির্ধারক।’ তিনি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার সময় সভায় উপস্থাপিত সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এলজিআই) স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ সভায় অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়ার কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তা তুলে ধরে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক মর্যাদা বজায় রাখতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অপর সদস্য ফেরদৌস আরফিনা ওসমান স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। কমিশনের সদস্য এবং নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন শেফালী নারীদের জন্য কোটা সিস্টেমের পরিবর্তে নেতৃত্বের পদে সরাসরি নির্বাচনের বিধান চালুর পক্ষে মত দেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের নেক্সাস প্রোগ্রাম ম্যানেজার আইরিন হফস্টেটার স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করাসহ স্থানীয় সরকারে ক্ষমতায়নে সুইজারল্যান্ড-বাংলাদেশ সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা না গেলে জাতীয় উন্নয়নে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞপ্তি