চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সংঘর্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে কোনো দায়ী ব্যক্তি যেন রেহাই না পান, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। ইতিপূর্বে যাঁরা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিও বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল থেকে বের করে দিতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য শিরীণ আখতার।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে লাঠিসোঁটা, রামদাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন তিন পুলিশসহ ২০ জন। এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহন হন ২৪ জন। এরপর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের এ দুটি পক্ষ হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। এর মধ্যে সিএফসির নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর কমিটি বাতিল করে কেন্দ্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ১১টি পক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে আ জ ম নাছিরের ৯টি আর বাকি ২টি মহিবুল হাসানের পক্ষ বলে পরিচয় দেন।