তৌহিদ হোসেনকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও এখানকার জনগণকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আসন্ন থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। মিয়ানমারের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাই নেম বিজয় দিবসে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উনি (নরেন্দ্র মোদি) তাঁর মতো করে একটা জিনিস বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে বলব।’
গতকাল দুপুর স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২৯ মিনিটে এস জয়শঙ্কর টুইট করে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।
মিয়ানমার নিয়ে বৈঠক করবে সীমান্তবর্তী দেশগুলো
আগামী বৃহস্পতিবার ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের ওই বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি, অপরাধ তৎপরতা ও দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও লাওসের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেবেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বুধবার থাইল্যান্ডে যাচ্ছি। আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরে মিয়ানমার নিয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আলোচনা কোন দিকে যায়, তার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরবে।’
বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়ে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়ামপোংসা, লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলুয়েমেস্কেই কোমাসিথ, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ও চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাউজু।
বাংলাদেশের অবস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরাপদে ও অধিকারের সঙ্গে ফেরত নিতে হবে। আজকের বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না। সেখানে একটি যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য, যখন মিয়ানমার শান্ত হবে, তখন যাতে ফেরত পাঠানো যায়। এ লক্ষ্যেই কাজ করবে বাংলাদেশ।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যাতায়াত বন্ধ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সেখানে একটি যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সে যুদ্ধের অংশীদার নয়। যেহেতু সেখানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, ফলে আমাদের সাবধানে অনেক কিছুই করতে হয়। আপাতত বিষয়টিকে সেভাবেই দেখছি। এটি স্থায়ী হতে পারে না।’
মিসর আয়োজিত ডি–৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ডি-৮ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ অনেক দেশ এর সদস্য। সম্মেলনের বাইরে কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ।
কোন কোন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। তবে কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অবশ্যই হবে।