অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম আর নেই

আহমদ শামসুল ইসলামছবি সংগৃহীত

দেশে টিস্যু কালচার ও বায়োটেকনোলজি গবেষণার পথিকৃৎ ও বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্টদের সংগঠন জিএনওবিবির প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম আর নেই। আজ সোমবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। আহমদ শামসুল ইসলামের মেয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অধ্যাপক জেবা ইসলাম সিরাজ জানিয়েছেন, তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম ১৯২৪ সালের ৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক, রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট (বিজ্ঞান বিভাগ), প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা থেকে ১৯৪৫ সালে বোটানিতে অনার্স এবং ১৯৪৭ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানিতে (সাইটোজেনেটিকস) পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বীজবিহীন স্ট্রবেরি নিয়ে তাঁর অনন্য গবেষণার জন্য একই বছর কারি মেমোরিয়াল পুরস্কার লাভ করেন।

অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম চার দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পাকিস্তানের সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়, তানজানিয়া, নাইরোবির দার-এ-সালাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান পড়িয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে সর্বপ্রথম ‘প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ও জেনেটিকস ল্যাবরেটরি’ স্থাপন করেন, যা দেশে এ ক্ষেত্রে গবেষণার সূত্রপাত করে। লিখেছেন বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক।

শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে কৃষিতে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক, ১৯৮৬ সালে শিক্ষায় একুশে পদক পেয়েছেন অধ্যাপক আহমদ শামসুল ইসলাম।

আহমদ শামসুল ইসলামের মেয়ে অধ্যাপক জেবা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বড় ছেলে অধ্যাপক ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ছোট ছেলে খালিদ ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

আজ বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।