সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা কেন পুনর্বিবেচনা নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রতিনিধিত্ব রেখে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) কেন পুনর্বিবেচনা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (সিপিপি) ২০২২-৪১ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি বিবেচনায় নিয়ে ওই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।

এর আগে ২০২৩ সালে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) করা হয়। এর আগে ২০২২ সালে জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (সিপিপি) হয়। তবে মহাপরিকল্পনার (আইইপিএমপি) ক্ষেত্রে ২০২২ সালের জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ল ইয়ার্স ফর এনার্জি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের (লিড) পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান মনিরা হক গত সেপ্টেম্বরে রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান ও আবদুল্লাহ আল নোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও শফিকুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির শুনানিতে ছিলেন।

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর সরকারের ক্রমাগত নির্ভরতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করেই মূলত রিটটি করা হয় বলে জানান আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) পরিবেশ সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারা এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন–সংক্রান্ত সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদের চেতনার পরিপন্থী। মহাপরিকল্পনা অনুসারে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত রয়েছে, যা পরিবেশের স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। যে কারণে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।