পরিবেশবান্ধব ইকো কোট

রং শুধু নান্দনিক হলেই হবে না, পরিবেশবান্ধবও হতে হবেছবি: প্রথম আলো

বায়ুদূষণের প্রভাবে জনজীবন এখন দুবির্ষহ। বায়ুবাহিত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝুঁকি তৈরি করছে। এতে অ্যালার্জিসহ দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে পরিবেশগত সচেতনতা গুরুত্ব দিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ইকো কোট রং তৈরি করছে। এই রং ভবনের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের উভয় দেয়ালের জন্য বেশ উপযোগী। সাধারণ রং শুধু দেয়ালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, কিন্তু বার্জার ইকো কোট দেয়ালের স্থায়িত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বায়ুদূষণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। বার্জার ইকো কোট রঙের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এপিএইচ প্রযুক্তি, যা বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এই রং কার্বন ডাই– অক্সাইড, মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, সালফার অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও ফর্মালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করতে সক্ষম। ফলে ঘর ও আশপাশের পরিবেশের বায়ুদূষণের মাত্রা ৯০ শতাংশ কমিয়ে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে এই রং। এই রং শিশু, বৃদ্ধ এবং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

বার্জার ইকো কোট শুধু পরিবেশের জন্য ভালো নয়, বরং এটি বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমায়। সাধারণ রঙে উদ্বায়ী জৈব যৌগ (ভিওসি), ভারী ধাতু ও তীব্র রাসায়নিক গন্ধ থাকে, যা শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তবে ইকো কোট কম গন্ধযুক্ত, ভিওসি-মুক্ত এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিকবিহীন হওয়ায় এটি ঘরের পরিবেশকে নিরাপদ ও আরামদায়ক রাখে।

বার্জার ইকো কোটের গুণগত মানের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসজিএসের মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ফলে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ও টেকসই সমাধান দিচ্ছে।