সবাইকে ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়ার পরিকল্পনা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়ার জন্য হেলথ প্রোফাইল তৈরির উদ্দেশ্যে শেয়ার্ড হেলথ রেকর্ড প্রণয়নের কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে শিগগির এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পরীক্ষামূলক ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯টি আইডি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অপারেশন প্ল্যানের আওতায় বর্তমানে ৬৭টি হাসপাতালে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। সব হাসপাতালে অটোমেশন চালু করার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু ট্র্যাকার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। সারা দেশে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ও পরিসংখ্যানবিদ/ডাটা এন্ট্রি অপারেটর/কম্পিউটার অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭২ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬ হাজার ৫৫৭টি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ৫টি মেডিকেল কলেজের ২৬০টি আসনসহ। আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় চারটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত এবং দুটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদারের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে সরকার সব সময় উৎসাহিত করে। দেশের হাসপাতালগুলোর সেবার মান বাড়াতে চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।