বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, গাজীপুরে নিহত ১, কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ ৭

শিক্ষার্থীদের মিছিলে ইটপাটকেল ছোড়া হলে এক শিক্ষার্থী আহত হন। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ লাইনস এলাকায়ছবি: এম সাদেক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি অন্তত ৩৩টি জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ হয়েছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর মধ্যে গাজীপুরে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ–সংঘাতে একজন নিহত হয়েছেন।

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া সাতটি জেলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩০ জন।

চট্টগ্রাম শহরে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় হামলা হয়েছে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। এর আগে চট্টগ্রাম–১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল বিভিন্ন সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মহাসড়কেও অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, গাজীপুরের মাওনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাদের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। গত শুক্রবার নিহত হন দুজন। আর গতকাল আরও একজন নিহত হন। এ ছাড়া গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৭ জনের।

গত শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সারা দেশে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, প্রতিটি জায়গায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।

গাজীপুরে নিহত ১

গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে মাওনা হাইওয়ে থানা ও জেলা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ অন্তত সাতটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। গতকাল বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি শ্রীপুরের চন্নাপাড়া গ্রামের মো. কাজল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই গ্রামের মক্কা-মদিনা স্পিনিং কারখানার সামনে লেপতোশক তৈরির কাজ করতেন।

নিহতের স্বজন মো. কাজল মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে জাহাঙ্গীর আলম দোকানে ছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তিনি খবর পান, সড়কে জাহাঙ্গীর আলমের নিথর দেহ পড়ে আছে। তাঁকে উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য মাওনা চৌরাস্তার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁদের অন্তত ১০০ জন আহত হন। তবে আহত হয়ে ২০ জনের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লায় মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৭

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভকারীরা কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সোয়া একটার দিকে মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করেন। এতে সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা জামায়াত-বিএনপিকে প্রতিহত করতে মাঠে ছিলেন। তাঁরা কোনো শিক্ষার্থীকে আঘাত করেননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘সরকারদলীয় লোকজনের হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছে। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

গুলিবিদ্ধ সাত শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে সৌরভ নামের এক শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ছাড়া আহত অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সৌরভের চোখের আঘাত গুরুতর। তাঁকে ঢাকায় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুরে পুলিশের গুলি

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে বের হন। এ সময় পুলিশ ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে ছিল। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। মিছিলটি ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় পৌঁছানোর আগে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীদের অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী সঞ্জয় বৈরাগী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

টাঙ্গাইলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। সখীপুর পৌরসভার মোখতার ফোয়ারা চত্বর ও উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশসহ ১১ জন আহত হন।

সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ইটের আঘাতে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, সখীপুরে এই প্রথম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি পালন করেছেন। আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

নওগাঁয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের কাজীর মোড় এলাকায় দুপুর ১২টার দিকে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের মুক্তির মোড়ের দিকে এগোতে থাকেন। এই মিছিলের আশপাশে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন।

মিছিলটি মুক্তির মোড় হয়ে সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক লায়লা আক্তার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে ১৩ জন হাসপাতালে আসেন। তাঁদের সবার মাথায় ইটের আঘাতের জখম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিলেটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকায় শহীদ মিনারের সামনে বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দুইটা থেকে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা পাঁচটার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ চড়াও হয়ে আক্রমণ শুরু করে। অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

তবে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করায় পুলিশ বাধা দেয়নি। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ আসে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হন।

বগুড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ

বগুড়ায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ছয়জন বুলেটবিদ্ধ হন। গতকাল বিকেল চারটার দিকে শহরের সাতমাথা থেকে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে ছররা গুলিবিদ্ধ পাঁচজন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি

অনেক জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, দেশের অন্তত ২৬ জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, পাবনা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, লালমনিরহাট, যশোর, ঝালকাঠি, চুয়াডাঙ্গা, সুনামগঞ্জ, পটুয়াখালী, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ফেনী। এ ছাড়া নাটোরের লালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।